তিন মহারথীর এক কাকতালীয় গল্প

ক্রিকেট মাঠে শুধু খেলা নয়, গল্পও তৈরি হয়। যেসব গল্প কখনো কখনো বাস্তবতার ঊর্ধ্বে গিয়ে হয়ে যায় কাকতালীয় ঘটনা। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব, যার রূপকার ছিলেন তিন মহারথী— শচীন, শেহওয়াগ এবং রোহিত শর্মা।

ক্রিকেট মাঠে শুধু খেলা নয়, গল্পও তৈরি হয়। যেসব গল্প কখনো কখনো বাস্তবতার ঊর্ধ্বে গিয়ে হয়ে যায় কাকতালীয় ঘটনা। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব, যার রূপকার ছিলেন তিন মহারথী— শচীন, শেবাগ এবং রোহিত শর্মা।

২০১০ সালে গ্বালিয়রে ইতিহাস গড়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’ শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে তিনিই প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন। সেই ম্যাচ ভারত জিতে নেয় ১৫৩ রানের বিশাল ব্যবধানে।

শচীনের সেই বিশ্ব রেকর্ড বেশিদিন টিকেনি। ২০১১ সালে, ঠিক এক বছর পর, আরেক ভারতীয় ব্যাটিং দানব বীরেন্দ্র শেবাগ ভাঙেন সেই রেকর্ড। ইন্দোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন ২১৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস, যা তৎকালীন ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়ে যায়। সে ম্যাচেও ১৫৩ রানের জয় পায় ভারত।

তার ঠিক তিন বছর পর, ২০১৪ সালে আরেকটি ইতিহাস রচনা করেন রোহিত শর্মা। শ্রীলঙ্কান বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে একাই করেন ২৬৪ রান— যা এখনও ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। কাকতালীয়ভাবে সে ম্যাচেও ১৫৩ রানেই জয় পায় ভারত।

তিন ব্যাটসম্যান, তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি, তিনটি আলাদা বছর, তবুও অদ্ভুত মিল এই ইনিংসগুলো জুড়ে। সেটি ১৫৩ রানের জয়। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কাকতালীয় ঘটনা বিরল।

ক্রিকেট মাঠ কিংবা মাঠের ২২ গজ গত ইতিহাসই তো রচনা করে। যেগুলো কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায়, আবার কখনো বা অদ্ভুত সব ঘটনা সামনে এনে বিস্ময় জাগিয়ে তোলে। আর এই কাকতালীয় ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে দিলো।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link