ড্রামা, ড্রামা, ড্রামা- এক ওভারে যত নাটক হওয়া যায় সবটুকুই হয়েছে। ওভারের প্রথম বলে আউট ছিলেন জিতেশ শর্মা, পয়েন্টে তালুবন্দী হয়েছিলেন। কিন্তু না, তিনি বেঁচে গেলেন। দ্বিগভেশ রাঠি নো বল করলেন। তাও ফ্রন্টফুট নো নয়, ব্যাক ফুট স্পর্শ করেছিল পপিং ক্রিজের সীমানা। পরের বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জিতেশ পূর্ণ করলেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি।
কিন্তু নাটকের শেষ সেখানেই ঘটেনি। দ্বিগভেশ এবার ঘটালেন মানকাড আউট। কার্যত আবার আউট ছিলেন জিতেশ। কিন্তু এদফা তাকে বাঁচালেন ঋষাভ পান্ত। দ্বিগভেশ আবেদন করলেও ঋষাভ তুলে নেন সেই আবেদন। জিতেশ পেয়ে যান আরও একটি সুযোগ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দ্বিতীয় স্থানে যাওয়ার সুযোগ। এমন ম্যাচেই ফিফটি হাঁকালেন অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। জিতেশের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্যারিয়ারের এটাই প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ঠিক কতটা ‘স্পেশাল’ তা তো অনুমেয়। একেবারে দৃষ্টিনন্দন আগ্রাসন! নিবেদনের সর্বোচ্চ উদাহরণ।
তবে নাটকীয়তায় ভরপুর এই প্রথম হাফসেঞ্চুরি তার বহুকাল মনে থাকবে নিশ্চয়ই। কেননা তিনি যে অধিনায়কোচিত একটা ইনিংস খেলেছেন। দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। শেষ ছক্কার মারটাও এসেছে তার ব্যাট থেকে। আট বল বাকি থাকতেই ব্যাঙ্গালুরু জিতে যায় ম্যাচ।
যার সিংহভাগ কৃতীত্ব জিতেশ শর্মার প্রাপ্য। মাত্র ৩৩ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংসটিই তার ক্যারিয়ারের অন্যতম হাইলাইটস হয়ে রইল। প্রায় ২৫৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকেও রেকর্ড গড়তে সহয়তা করলেন তিনি। এর আগে কখনোই ২২৮ বা তার বেশি রান তাড়া করে জেতেনি ফ্রাঞ্চাইজিটি।
নানা নাটকের শেষটায় নায়কের বেশে বীরদর্পে মাঠ ছেড়েছেন জিতেশ শর্মা। সতীর্থদের অভিবাদনের সাথে সাথে সকলের হৃদয়ে হয়েছে তার ঠাঁই। এমন ক্লাচ মুহূর্তে তার ইনিংসটিই বরং ব্যাঙ্গালুরুকে আরও একবার বিশ্বাস করতে বাধ্য করল- ইয়ে সালা কাপ নামদে (এ বছর শিরোপা আমাদের)।