সকল আশার আলো নিভে গেলেও মিচেল মার্শের ব্যাটে ছড়িয়েছে উজ্জ্বলতা। ব্যাট হাতের অজি ব্যাটার আরও একবার দেখালেন নিজের সামর্থ্য। শতক করে হাত দু’খানা মেলে দিলেন গগনপানে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মিচেল মার্শ।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস ছিটকে গেছে প্লে-অফের দৌড় থেকে। স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল গুজরাট টাইটান্স। ম্যাচটাকে খুব একটা হালকাভাবে নিলেন না মিচেল মার্শ। ওপেনিংয়ে নেমে প্রায় ইনিংসের শেষ অবধি টিকে থেকেছেন তিনি। কিন্তু শুধু টিকে থাকার জন্যে টিকে থাকেননি, সমানতালে আগ্রসনকে সঙ্গী করে রান তুলেছেন।
স্রেফ ৬৪ বলের ইনিংসটিতে তিনি লখনৌয়ের স্কোরবোর্ডে যুক্ত করেছেন ১১৭ রান। প্রায় ১৮৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটিতে পেশিশক্তি হয়েছে দৃশ্যমান। বাহারি সব শটে পসরা সাজিয়েছিলেন তিনি গুজরাটের বিপক্ষে। আটটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। চার মেরেছেন গুণে গুণে দশটি।
মারকাটারি ইনিংস বলতে যা বোঝায়, তার সবকিছুই ছিল মার্শের এই ইনিংসে। গুজরাটের বোলারদের প্লে-অফের আগে একটা রিয়েলিটি চেক দিয়ে দিলেন মার্শ। তিনি বরং উপকারই করলেন গুজরাটের। বোলারদের দূর্বলতা আর সক্ষমতার বাস্তবতা অন্তত জানতে পারল গুজরাট টাইটান্স।
লখনৌ সুপার জায়ান্টসের এবারের আইপিএল যাত্রা ছিল রীতিমত এক রোলারকোস্টার রাইড। তবে ব্যাট হাতে মার্শের মৌসুমটা খুব একটা বাজে কাটেনি। ১২ ইনিংসে প্রায় ৪৭ গড়ে ৫৬০ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার সেরা পাঁচে তিনি একমাত্র বিদেশি।
দলের বাকিরা পারফরম করতে পারলেই হয়ত ভিন্ন হতে পারত লখনৌয়ের ভাগ্য। তবে এখন আর ভাগ্য বদলের খুব বেশি সুযোগ বাকি নেই। তাইতো পরিসংখ্যান পুষ্ট করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পেষণাও নেই মার্শের সামনে। সে কারণেই বোধহয় নির্ভার মার্শ প্রথম শতক তুলে নিলেন, দলকে বড় সংগ্রহও গড়ে দিলেন। অন্তত সান্ত্বনার জয় তো পেতেই পারে তার দল।