রোহিত শর্মা আউট হতে পারতেন একেবারে ইনিংসের শুরুতেই। কিন্তু রায়ান রিকেলটনের কল্যাণে বেঁচে গেলেন তিনি। এরপরই স্বরুপের রোহিত তুলে নিলেন হাফ সেঞ্চুরি। সেই ইনিংসটির বদলৌতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পেল এক দূর্দান্ত সূচনা। ওপেনিং জুটি থেকে এলো ১১৬ রান।
ফজল হক ফারুকির বলটা ঠিক বুঝতেই পারলেন না রোহিত। বহু আগে চালিয়ে ফেললেন ব্যাট। বল গিয়ে আঘাত করল প্যাডে। খালি চোখে নিশ্চিত লেগ বিফোর আউট মনে হচ্ছিল। আম্পায়ারও আউটের সিদ্ধান্ত জানালেন। রোহিতও সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু রায়ান রিকেলটন তাকে রিভিউ নিতে এক প্রকার বাধ্য করলেন।
তারপর রিভিউতে দেখা গেল বল পিচ করেছে লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে। ব্যাস, সে যাত্রায় ‘হিটম্যান’ রোহিত পেলেন দ্বিতীয় জীবন। সুযোগ কি করে কাজে লাগাতে হয়- সেই উদাহরণ তিনি আরও একবার লিখলেন। স্পিনারদের তুলোধুনো করে রান তুলতে থাকেন দুর্বার গতিতে।
কিন্তু সব শুরুর একটা শেষ রয়েছে। রোহিতকেও থামতে হয়েছে। ৩৬ বলে ৫৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন রোহিত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই ইনিংসে তিনি একটিও ছক্কা হাঁকাননি। নয়টি চার মেরেছেন। কিন্তু রিয়ান পরাগের বলে প্রথম ছক্কা আদায় করতে গিয়েই লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
ফুরিয়ে যাচ্ছেন, বুড়িয়ে যাচ্ছেন, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেও খেলছেন তিনি ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে। অধিনায়কত্ব তো হারিয়েছেন বহু আগেই। তবুও মুম্বাই তার উপর আস্থা রেখেছে। যতটা সম্ভব আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফল অধিনায়ক।
এই নিয়ে তিনখানা ফিফটি করেছেন এবারের আইপিএলে। ১৫৫ স্ট্রাইকরেটে ২৯৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। খুব একটা মন্দ না করলেও তার প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়ত পারফরম করতে পারছেন না। কিন্তু শেষবেলাতেও মাঝে মধ্যে ঝলক দেখাচ্ছেন তিনি। এটাই রোহিত শর্মা ক্লাস।