এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ নাইম শেখ কিংবা মোসাদ্দেক হোসেন ঘরোয়া লিগের বড় তারকা, রীতিমতো ব্যর্থ হয়েছেন নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে। তাই তো আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স।
সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে (ডিপিএল) ব্যাট হাতে রাজত্ব করেছেন এনামুল হক বিজয়। ১৪ ম্যাচ খেলে ৭৯.৮৪ গড়ে রান করেছিলেন ৮৭৪। হাঁকিয়েছিলেন চারটি সেঞ্চুরি। শেষ হওয়া আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও তিনি।
শুধু বিজয় নন, নাইম শেখও ব্যাট হাতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। ১১ ম্যাচে ৬১৮ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় ছিলেন তিন নম্বরে।
মোসাদ্দেক হোসেন আবার একটু ব্যতিক্রম। শুধু ব্যাট হাতে ৪৮৭ রানই করেননি, টুর্নামেন্টে ৩০ উইকেট নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
ঘরোয়া লিগে এই তিনজনের পারফরম্যান্স ঝড় তুলেছিল ক্রিকেট মহলে। জাতীয় দলে কেন তাঁরা সুযোগ পান না, তা নিয়েও হয়েছিল সমালোচনা। তবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে যেন মুদ্রার ওপিঠটি দেখলো এই তিনজন।
প্রত্যাশার জায়গাটা ছিল অনেক বড়। তবে আশার আগুনে যেন জল ঢেলেছেন তাঁরা। ব্যর্থতার সর্বোচ্চ চূড়ায় রয়েছেন নাইম শেখ। তিন ইনিংস মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৬২ রান।
অন্যদিকে সতীর্থ এনামুল হক বিজয়েরও রাস্তা গিয়েছে নাইম শেখের পথ ধরেই। তিন ইনিংসে মোট রান মাত্র ৭৯। ডিপিএলের বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরানো এই ব্যাটারের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানটাও ৩৯।
আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেক মিডল অর্ডার সামলেছেন একা হাতেই। প্রায় ৫০০-এর কাছাকাছি রান করা এই ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ইনিংসে করেছেন মাত্র ১৭ রান।
তাই তো প্রশ্ন আসতে পারে, ডোমেস্টিক সার্কিটে দাপিয়ে বেড়ানো এসব ব্যাটাররা জাতীয় দলের আশপাশে গেলেই কেন ব্যর্থ হন? উত্তরটা ঘরোয়া লিগের মান কখনোই মানসম্মত নয়।
তাই তো ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে উজ্জ্বলতা দেখানো খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখ থুবড়ে পড়েন। যার জলন্ত প্রমাণ তাঁরা তিনজন।