ব্যাপারটাকে কাকতালীয় না বলে উপায় আছে? বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসেবে বড় ব্যবধানে তিনটি জয়ের একটি অপরটির সাথে ব্যবধান ২৯০ ম্যাচ। বুঝিয়ে বলা যাক। গেল শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৩ রানের জয়ই বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়।
এর আগে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই ১৬৯ রানে জিতে বাংলাদেশ। সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় জয়। সেটি ছিল আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ইতিহাসের ৪২৪৯ তম ম্যাচ।
সিলেটে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটা ম্যাচ ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসের ৪৫৩৯ তম ম্যাচ। ১৬৯ রানের ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের সাথে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচ ব্যবধান ২৯০।
এরও আগে ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারানোই ছিল বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। সেই ম্যাচ ছিল আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ৩৯৫৯ তম ম্যাচ। অর্থাৎ এই দুই ম্যাচের মধ্যেও ব্যবধান ২৯০!
২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজিত হয় মিরপুরে। হুট করে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়ার পর সেই সিরিজেই প্রথমবার শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু, প্রথম ম্যাচে হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনি।
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের ইতিহাসে ঠিক ২৯০ ম্যাচ পরের গল্প। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারায় বাংলাদেশ। ২৯০ ম্যাচ আগের রেকর্ড ভেঙে তুলে নেয় রানের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়টি।
২৯০ ম্যাচ আগের সেই সিলেটের পর ২৯০ ম্যাচ পর আবারো সেই সিলেট। এবার আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারিয়ে ২৯০ ম্যাচ আগের সেই রেকর্ড ভাঙলো টাইগাররা। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ঠিক ২৯০ ম্যাচ পর পর নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ভাঙছে বাংলাদেশ। এবার আবার প্রথম প্রশ্নটাই আবার করি – ব্যাপারটাকে কাকতালীয় না বলে উপায় আছে?