ক্যারিবিয়ান টর্নেডোতে চেন্নাই লণ্ডভণ্ড

ক্যারিবিয়ানদের কদর কেন?- সে প্রশ্নেরও উত্তরও দিয়ে দিলেন তিনি একটি মাত্র ইনিংসেই, এক হাতে ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে। 

বেথেল আর বিরাটের ইনিংসগুলো যদি হয় এক দৃষ্টিনন্দন কেক। তবে রোমারিও শেফার্ডের ইনিংসটি ‘চেরি অন টপ’। স্রেফ দুই ওভারের টর্নেডো। চেন্নাই সুপার কিংস তাতেই লণ্ডভণ্ড। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ইতিহাসে, দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার।

স্রেফ ১৪ বল! স্রেফ ১৪ বলে ৫৩ রান তুলেছেন শেফার্ড। স্ট্রাইকরেটের হিসেব টানলেন অংক দাঁড়ায় প্রায় ৩৭৯! অবিশ্বাস্য! অভাবনীয়! ইনিংসের শেষের দিকে ফিল্ড রেস্ট্রিকশন নেই- এমন মুহূর্তে এই ইনিংসটি অবশ্যই অবিস্মরণীয়।

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দর্শকদের বাউন্ডারির বৃষ্টিতে ভেজালেন দানবীয় এক ইনিংসে। ছক্কার ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। চার মেরেছেন চারটি। ১৯ ও ২০ তম ওভারে তিনি কেবলই তাণ্ডবনৃত্য করলেন বাইশ গজে দাঁড়িয়ে। তার ওমন রুদ্রমূর্তির সামনে খলিল আহমেদ ও মাথিশা পাথিরানা কেবলই মাটির পুতুল।

শেষ দুই ওভারে শেফার্ডের তাণ্ডবে ব্যাঙ্গালুরুর স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয়েছে ৫৪ রান। টিম ডেভিডের সাথে তিনি জুটি গড়েন ১৫ বলে ৫৬ রানের। যেখানে শেফার্ডের অবদান ১৪ বলে ৫৩। তার আগ্রাসনের ভয়বহতা রীতিমত বর্ণনাতীত। খেই হারানো ব্যাঙ্গালুরুকে ২০০ রানের ওপারে নিয়ে গেছেন তিনি।

আর তাতেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসেও জায়গা করে নিলেন এই ক্যারিবিয়ান। মাত্র ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন শেফার্ড। আইপিএল ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড। লোকেশ রাহুল ও প্যাট কামিন্সের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ক্যারিবিয়ান দানব।

অবশ্য তার সামনে সুযোগ ছিল জশস্বী জয়সওয়ালের পাশে বসার। এখনও পর্যন্ত ১৩ বলে ফিফটি হাঁকানো তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়। তবুও প্লে-অফ নিশ্চিত করার ম্যাচে শেফার্ডের ইনিংসটি ব্যাঙ্গালুরুর ফাইটিং স্পিরিটকে দিয়েছে দারুণ বুস্টার। ক্যারিবিয়ানদের কদর কেন?- সে প্রশ্নেরও উত্তরও দিয়ে দিলেন তিনি একটি মাত্র ইনিংসেই, এক হাতে ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে।

Share via
Copy link