নিশ্বাস ফেলারও সময় ছিল না বিরাট কোহলি হাতে, অপর প্রান্তে জ্যাকব বেথেল নামের এক তরুণ তূর্কী ছড়ি ঘোড়াচ্ছেন। তাঁর সাথে যেন পাল্লা দিলেন কিং কোহলি। চার-ছক্কার এমন ঘূর্ণিপাকে ব্যাট চালিয়েছেন, যেন স্ট্রাইক রেট নয়—স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কোহলি চালিয়েছেন সময়কে হারিয়ে দেওয়ার লড়াই। করেছেন সমালোচনা আর বয়সকে উড়িয়ে দেওয়ার লড়াই। নামটা বিরাট কোহলি বলেই এই লড়াই তিনি বারংবার করতে জানেন।
আউট হয়েছেন খুবই সফট ডিসমিসালে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বল জমা পড়তেই আক্ষেপে ভেঙে পড়েন। যেন পুরো গ্যালারির হৃদস্পন্দন থেমে যায় এক মুহূর্তে। হাজারো দর্শক হঠাৎ স্তব্ধ। তবে, এর আগে বিরাট কোহলির একক আধিপত্তই দেখেছে ব্যাঙ্গালুরুর ঘরের দর্শকরা। ৬২ রান, ৩৩ বলে। পাঁচটি চার, পাঁচটি ছয়। স্ট্রাইক রেট—১৮৭.৮৭। না, এই বিরাট কোহলিকে নিয়ে সমালোচনা করা যায় না।
তবে সংখ্যায় বন্দি করা যায় না এ ইনিংসের আবেগ। এ তো শুধুই রানের খাতা নয়, এ তো সমালোচকদের দম্ভ ভাঙার গল্প। চেন্না সুপার কিংসের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে এমন দাপট দেখিয়েছেন, যেন স্ট্রাইক রেট শব্দটাই অপমান।
কে বলে তিনি সময় নিচ্ছেন? কে বলে তিনি আগের মতো আগ্রাসী নন? এ ইনিংসে কোহলি ছিলেন আগুনের মতোই — মারকুটে, নির্মম, ভয়ানক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিয়েছেন। হয়তো সব রকম আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটাও খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তবে, কোহলির ব্যাটের সেই পুরনো নেশা যত দিন যাচ্ছে ততই যেন বাড়ছে। বিরাট কোহলি চিরকালীন, তাঁর কোনো শেষ নেই।