পেসারদের জন্য এমনিতেই ফিরতি ক্যাচ নেয়াটা বেশ কঠিন, ফলো থ্রুয়ের কারণে পিচ থেকে খানিকটা দূরে সরে যেতে হয়। অথচ ভুটানের পেসার রানজুং মিকোয় দরজি এসব বিশ্লেষণী কথাকে দেখালেন বুড়ো আঙুল। বোলিং প্রান্তের উল্টো দিকে আসা ক্যাচ দুর্ধর্ষ ভঙিতে লুফে নিলেন।
স্ট্রাইকে তখন ছিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ওপেনার তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন বোলারদের ওপর। মাত্র ২৩ বলেই করে ফেলেছিলেন ৪৬ রান; ঠিক সেসময় দৃশ্যপটে হাজির হন দরজি।
প্রথম বলটাই একেবারে স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প লাইনে স্লোয়ার ছিল, মারমুখী ভঙ্গিতে থাকা ওয়াসিম তাই খেই হারিয়ে ফেলেন। লেগ সাইডে শট খেলতে গিয়ে সামনের দিকে ক্যাচ তুলে দেন। যদিও বোলারের উল্টো পাশে হওয়ায় এক পলকের জন্য হয়তো নিজেকে নিরাপদ ভেবেছিলেন।
কিন্তু ভুটানি পেসার নিজেকে শূন্যে ভাসিয়ে দিলেন, একেবারে পাখির মত উড়াল দিয়ে এক হাতেই তালুবন্দি করে নিলেন ক্যাচটা। তারপরই হাতের মুঠোয় বল আঁকড়ে ধরে মেতে উঠলেন ছেলেমানুষি উল্লাসে। উইকেটের গুরুত্ব আর অবিশ্বাস্য একটা ক্যাচ ধরার আনন্দ মিলে তাঁর আসলে আবেগের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল।
যদিও পুরো ম্যাচ বিবেচনায় দিনটা ভাল যায়নি এই ডানহাতির, চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪১ রান খরচ করেছিলেন তিনি। আর উইকেট কেবল একটাই। ইনিংসের সবচেয়ে খরুচে বোলারদের মধ্যে তাঁর অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।
এমন দিনে জিততে পারেনি ভুটানও, তুলনামূলক শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বড় ব্যবধানেই হেরেছে তাঁরা। আগে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাত করেছিল ১৬৬ রান, ১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬৩ রান আগেই থেমে যায় ভুটানের ব্যাটিং ইনিংস।