আবরার-নাওয়াজ, লঙ্কা শিবিরে আগত পাকিস্তানি ঘূর্ণিঝড়

আবরার আহমেদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ এই দুইজনে মিলে শ্রীলঙ্কার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন করেছেন ধূলিসাৎ। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে লঙ্কানদের শুভসূচনাকে, হ্যাপি এন্ডিং হতে দেননি পাকিস্তানি স্পিনাররা।

আবরার আহমেদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ এই দুইজনে মিলে শ্রীলঙ্কার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন করেছেন ধূলিসাৎ। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে লঙ্কানদের শুভসূচনাকে, হ্যাপি এন্ডিং হতে দেননি পাকিস্তানি স্পিনাররা।

পাথুম নিসাঙ্কার বিদায়ের পর, আবারও লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন কামিল মিশারা। শ্রীলঙ্কান এই ব্যাটার আরও একটি ফিফটি তুলে নেন। কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গী করে ৬৮ রানের জুটি গড়েন কামিল। সে জুটিতে সিংহভাগ কৃতীত্ব ছিল বা-হাতি কামিলের। ৫৯ রান করা কামিল মিশারাকে ফেরান মূলত সাইম আইয়ুব।

এরপর শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারের উপর চেপে বসেন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও আবরার আহমেদ। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে, জোড়া আঘাত হানেন পাকিস্তানি লেগি। তার আগে কামিল ও মেন্ডিসের জুটিতে ভাঙন ধরান বা-হাতি মোহাম্মদ নাওয়াজ। শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহের স্বপ্ন সেখানেই প্রবল ধাক্কা খায়।

স্লগ ওভারে নাওয়াজ বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দেখান। জানিথ লিয়ানাগে এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সাজঘরে পাঠান নাওয়াজ। ব্যক্তিগত চার ওভারের কোটা শেষে তার নামের পাশে যুক্ত হয় তিন উইকেট- খরচা স্রেফ ১৭ রান। একই পরিমাণ রান খরচায় একটি উইকেট বাগিয়েছেন সাইম আইয়ুব। এক রান বেশি দিয়ে আবরারের শিকার তিন উইকেট।

এই তিন স্পিনারের ঘূর্ণিতে ওলট-পালট হয়ে যায় লঙ্কানদের ব্যাটিং অর্ডার। ৪ থেকে ১১, লঙ্কান সাত ব্যাটারের সর্বসাকুল্যে সংগ্রহ ১৭ রান। পাকিস্তানের স্পিনারদের ঘূর্ণিঝড়ে লঙ্কা দ্বীপের বেহাল দশা বরং এই ছোট্ট পরিসংখ্যানই ফুটিয়ে তুলছে। তাদের আঙ্গুলের ফাঁক গলে সৃষ্টি হওয়া মায়াবী জাদুতে বিমোহিত হয়ে লঙ্কানরা স্রেফ উইকেট বিলিয়ে গেছে।

দশ ওভার শেষে এক উইকেটে ৮১ রান তোলা শ্রীলঙ্কা, বড় সংগ্রহের দিকেই রেখেছিল নজর। কিন্তু পরবর্তী ৩৩ রান তুলতেই লঙ্কানরা হারিয়েছে নিজেদের ৯টি উইকেট। তাতে করে স্রেফ ১১৪ রানেই থেমেছে শ্রীলঙ্কার পদযাত্রা। এই টার্গেট ফর্মে থাকা পাকিস্তানের জন্যে মোটেও নয় কোন দুশ্চিন্তা।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link