Social Media

Light
Dark

সাকিবের টাইমড আউটের ভয়ে আবরারের ছোটাছুটি

আবরার আহমেদ যে সে ঘটনা ভুলে যাননি, তা তো বোঝা গেল রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে।

কোন রকমে তড়িঘড়ি করে দৌড়ালেন আবরার আহমেদ। তিনি হয়ত চিন্তাও করেননি যে এত দ্রুতই তার নেমে যেতে হবে। প্রস্তুত ছিলেন না। কোন রকমে তিনি ছুটে বাইশ গজে পৌঁছাতে চাইলেন। মাঝে আবার গ্লাভসও গেল পড়ে। তিনি যেন রীতিমত ভয়ে ছিলেন। কেননা বোলিং প্রান্তে যে ছিলেন সাকিব আল হাসান।

নিশ্চয়ই বিশ্বকাপের সে ঘটনা মলিন হয়ে যায়নি। গোটা বিশ্বে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে টাইমড আউট করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের ইতিহাসে সেটাই যে ছিল প্রথম টাইমড আউটের ঘটনা।

আবরার আহমেদ যে সে ঘটনা ভুলে যাননি, তা তো বোঝা গেল রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে। পরপর দুই বলে হাসান মাহমুদ তুলে নেন দুই উইকেট। মোহাম্মদ রিজওয়ানের পর মোহাম্মদ আলি ফিরে যান দুই বলের ব্যবধানে। আবরারকে তাই দ্রুতই নামতে হয়েছে মাঠে।

আবরার বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। গ্লাভস তুলবেন নাকি হেলমেট ঠিক করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এই দিকে বাংলাদেশ দল থেকে মজার ছলেই বলা হয়েছে আবেদন করবার জন্য। ক্যামেরায় যখন সাকিবকে দেখানো হল, তখন তার মুখেও এক বিস্তৃত হাসি। তিনিও যেন ম্যাথুয়েজের সাথে ঘটে যাওয়া তার সে ঘটনাই মনে করছিলেন।

বিব্রত আবরারও হাসিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইলেন। বড্ড বাঁচা বেঁচে গেলেন তিনি। তাকে অন্তত এ দফা টাইমড আউট হতে হয়নি। যথা সময়ে তিনি পৌঁছাতে পেরেছেন বাইশ গজে। নতুবা টেস্ট ক্রিকেটেও টাইমড আউটের মত ঘটনার মঞ্চায়ন হয়ে যেতে পারত রাওয়ালপিন্ডি-তে।

Share via
Copy link