আলোচনা বা সমালোচনা – কোনো কিছুতেই নেই আবু হায়দার রনি। তবে, পারফরম্যান্সে কোনো কমতি নেই। তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই লড়াই করেই গড়লেন অনবদ্য এক রেকর্ড।
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী আবু হায়দার রনি। ছয় ম্যাচে শিকার করেছেন ১২ উইকেট। এই আসরে সবগুলো ম্যাচে উইকেট শিকার করা একমাত্র বোলার তিনি। সেই সাথে আরও এক অনন্য রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন তিনি। এই ১২ উইকেটের মধ্যে ছয়টি উইকেটই ওপেনারদের। নতুন বলে তিনি কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন তারই একটা প্রমাণ এই পরিসংখ্যান।
নতুন বলে লাইন, লেন্থ, গতি এবং সুইং—সবকিছুতেই তার উন্নতি এখন স্পষ্ট। তার নিখুঁত লাইন ও লেন্থ ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে নিচ্ছে। তার গতি পরিবর্তন এবং সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন অধিকাংশ ওপেনাররা। বল সুইং করানোর ক্ষমতার সঙ্গে তার নিখুঁত ইয়র্কার ও শর্ট বলের মিশ্রণ নতুন বলের প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতই ঠেকছে। প্রতিপক্ষের ওপেনিং জুটিকে ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে রনির দক্ষতা অবিস্মরণীয়।
আবুহায়দার রনি, মাঝে অনেকটা সময় ছিলেন আলোচনার বাইরে। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১৬ ম্যাচে ৩১ উইকেট নিয়ে, টুর্নামেন্টটির সেরা উইকেট শিকারী হয়ে আবারও লাইমলাইটে চলে আসেন তিনি। এরপর থেকেই চলছে রনির পেস তাণ্ডব। এনসিএল টি-টোয়েন্টি লিগেও ব্যাটে বলে ঝড় তুলে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়।
নতুন বলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওপেনারদের সাজঘরে ফিরিয়ে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিতে তার ঠিক পিছিয়েই আছেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। এখন অবধি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তাসকিন ফিরিয়েছেন পাঁচ ওপেনারকে।
এবারের বিপিএল তার জন্য নতুন করে নিজের দক্ষতা প্রমাণের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স শুধু দলকেই স্বস্তি দিচ্ছে না , বরং তার ক্যারিয়ারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্যও সহায়ক হচ্ছে। রনি তার বলের গতির বৈচিত্র্য, নিখুঁত লাইন-লেন্থ এবং ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ সৃষ্টি করার ক্ষমতার মাধ্যমে নিজেকে একজন সম্পূর্ণ বোলার হিসেবে গড়ে তুলছেন। সেই হারিয়ে যাওয়া রনি যেন ফিরে পেয়েছেন চলার সঠিক পথটা।