ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সহ অনেক ভীনদেশী লিগে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানের; এবার লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলার স্বাদও পেয়ে গেলেন। ডাম্বুলা সিক্সার্স ডিরেক্ট সাইনিংয়ে দলে নিয়েছে তাঁকে, অভিষেক ম্যাচটা ভাল না কাটলেও পরের ম্যাচে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি।
টুর্নামেন্টে নিজদের দ্বিতীয় ম্যাচে জাফনা কিংসের মুখোমুখি হয় ডাম্বুলা। আগের ম্যাচে তিন ওভার বল করলেও এদিন চার ওভারের স্পেল পূর্ণ করেছেন টাইগার পেসার। চার ওভারে সবমিলিয়ে ৩০ রান খরচ করে দুই উইকেট শিকার করেছেন তিনি। দল চার উইকেট হারলেও তাঁর পারফরম্যান্স তাই মনে রাখার মতই।
নিজের প্রথম বলেই কুশল মেন্ডিসের কাছে চার হজম করতে হয়েছিল এই বাঁ-হাতিকে, কিন্তু প্রত্যাবর্তনের গল্প রচনা করে মেন্ডিসকেই দুই বল পর সাজঘরে ফেরান তিনি। সেই ওভারে মাত্র ছয় রান খরচ হয় তাঁর; যদিও পরের ওভারটা ভাল হয়নি। চারিথ আসালাঙ্কা পর পর দুইটি চার আদায় করে নিয়েছিলেন।
লম্বা বিরতি শেষে যখন ডেথে বোলিং করতে আসেন ততক্ষণে দলের হার প্রায় নিশ্চিত। তবু চেষ্টা করেছেন তিনি, আসালাঙ্কাকে আউট করে আশার প্রদীপ পুনরায় জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। আগের চার ওভারে যেখানে ৭৯ রান এসেছে সেখানে তাঁর এই ওভার থেকে এসেছে স্রেফ তিন রান!
নিজের শেষ ওভারেও নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল কাটার মাস্টারের সামনে। কিন্তু দুইটি বাউন্ডারি চলে আসায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। তবে একটি উইকেট ঠিকই তুলে নিয়েছেন – অর্থাৎ মিশ্র অভিজ্ঞতাই হলো তাঁর।
টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ এখন দেশসেরা পেসার, বিদেশি লিগেও সেই প্রমাণ তিনি দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। এখন পালা এলপিএলে নিজের চমক দেখানোর। প্রথম দুই ম্যাচ সেটা হয়নি, পরের ম্যাচগুলোতে হবে তো?