অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা কিংবা আফগানিস্তানের রশিদ খানকে নিয়ে যতটা মাতামাতি হয় তার সিকিভাগও জোটে না আদিল রশিদের ভাগ্যে। অথচ বিশ্বসেরা লেগ স্পিনাররা দলের জন্য যা করেন এর চেয়ে কোন অংশে কম করেন না তিনি: এমনকি কখনো কখনো বাড়তি দায়িত্ব পালন করেন। এইতো সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করতে দেখা গেলো তাঁকে।
অস্ট্রেলিয়া দলে প্যাট কামিন্স, মিশেল স্টার্কের মত একাধিক স্ট্রাইক বোলার আছেন; আফগানদের তো এক গাদা তারকা স্পিনার। তাই জাম্পা, রশিদরা বোলিংয়ে সতীর্থের পরোক্ষ সাহায্যটুকু পান। সেই তুলনায় ইংলিশ লেগি কিছুটা একাকী বটে; কেননা দলের বোলিং বিভাগে আগের মত জৌলুস নেই এখন।
তবু তিনি ছুটছেন আপন গতিতে, বল হাতে মিতব্যয়ী আর উইকেট শিকারে হিংস্র। যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচেও চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৩ রান খরচ করেছেন এই ডানহাতি, বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। পুরো ইনিংসে তাঁর চেয়ে কম ইকোনমিতে বল করতে পারেনি আর কেউই।
নিজের চার ওভারের প্রতিটিতেই রশিদ ছিলেন দুর্দান্ত, অধিনায়ক ঠিক যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই পারফরম করেছেন। তাঁর প্রথম ওভারে মাত্র দুই রান নিতে পেরেছিলেন ব্যাটাররা, স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছিল ডট বলের চাপ। সেটারই ফায়দা নিয়ে পরের ওভারে অ্যারন জোন্সকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি।
ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পরের ওভারেও স্কোরবোর্ডে নিজের নাম লেখান এই লেগি। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া নিতীশ কুমারকে আউট করে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াকু পুঁজির স্বপ্ন ভেঙে দেন তিনি – সন্তোষজনক সূচনা পেয়েও তাঁর এমন বোলিংয়ের কারণে মাঝের ওভারে পথ হারিয়েছিল এবারের বিশ্বকাপের চমক জাগানিয়া দলটি।
অবশ্য আদিল রশিদ জাদু দেখাবেন সেটা প্রত্যাশিত ছিলই। চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জেতা প্রায় সব ম্যাচেই অবদান রেখেছেন তিনি; ওমানের বিপক্ষে তো নিজেই ম্যাচসেরা হয়েছিলেন – সবমিলিয়ে তাঁকে ভরসাযোগ্য পারফরমার বলাই যায়।