সেসে বাউ, পাপুয়া নিউ গিনির স্বপ্নের নায়ক

ছোট দলের বড় তারকাদের দিকে তাকানোর সময় নেই ক্রিকেটবিশ্বের, নিজেকে চেনাতে তাই বিশ্বমঞ্চকেই বেছে নিতে হয় তাঁদের। বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্টে পারফরম করতে পারলেই মেলে খানিকটা খ্যাতি; সেসে বাউ সেই পথেই হেঁটেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের দলের ব্যাটাররা যখন ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি তখন একাই লড়ে গিয়েছেন।

এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলছে পাপুয়া নিউগিনি। সেজন্যই প্রত্যাশার কোন চাপ নেই, তবে বড় দলের চোখে চোখ রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তীব্র বাসনা ঠিকই আছে। সেই বাসনা থেকেই বোধহয় জ্বালানি পেয়েছেন এই ব্যাটার, করেছেন হাফসেঞ্চুরি।

এদিন ৪৩ বলে ৫০ রান এসেছিল এই বাঁ-হাতির ব্যাট থেকে। ছয়টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে খেলা ইনিংসটিতে ছিল প্রত্যয় আর আত্মবিশ্বাসের ছাপ। তিনি যখন উইকেটে আসেন তখন সাত উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল নিউগিনি, সেখান থেকে এরপর তাঁর কাঁধে ভর করেই সম্মানজনক সংগ্রহের দিকে এগিয়ে গিয়েছে দলটি।

পুরো ইনিংস জুড়ে জুটি গড়ার জন্য কাউকে পাননি সেসে বাউ, অধিনায়ক আসাদা ভালা ২১ রান করে ফিরে যাওয়ার পর বাকি ব্যাটাররাও আসা যাওয়ার মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে তিনি ঠিকই পাহাড়ের মত অটল ছিলেন।

শেষপর্যন্ত আউট হওয়ার আগে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। শুরু থেকে আউট হওয়া পর্যন্ত যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়, সেই সাথে টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে দেশের প্রথম হাফসেঞ্চুরিয়ানও তিনি – সবমিলিয়ে তাই ক্রিকেটপ্রেমীদের মনোযোগ কিছুটা হলেও প্রাপ্য তাঁর।

পাপুয়া নিউগিনি হয়তো জিতবে না, তবে সেসে বাউয়ের এমন ইনিংস নি:সন্দেহে তাঁদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দলটির বর্তমান আর ভবিষ্যৎ ব্যাটারদের মনে বিশ্বাস তৈরি হবে যে, তাঁরাও বড় দলের বিপক্ষে বড় কিছু করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link