মদ্যপ ম্যাক্সি থেকে ম্যাক্সির মাদকতা

সমালোচনার স্রোত থেকে প্রশংসার জোয়ার। সপ্তাহ তিনেকের ব্যবধানে এ দুই মেরুরই স্বাক্ষী হতে হলো গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। গত ১৯ জানুয়ারি বন্ধুদের সাথে মদ্যপান করে রীতিমত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। তা নিয়েই চারদিক থেকে ধেয়ে এসেছিল সমালোচনার স্রোত। তবে সেই অ্যাডিলেডেই আবার সেঞ্চুরি করে এখন প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি।

পানশালা কাণ্ডে ঠিক কী হয়েছিল, তা নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও অবশেষে নীরবতা সব খোলাসা করেছেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজের ভুলটা মেনে নিয়েছেন এ ক্রিকেটার। তবে তাঁর মতে, এমন ঘটনায় ম্যাক্সির চাইতে তাঁর পরিবারকে বেশি ভুগতে হয়েছে।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমার চেয়েও আমার পরিবারের ওপর বেশি প্রভাব পড়েছে এ ঘটনায়। আমি জানতাম আমার সে সপ্তাহে ছুটি আছে। অবশ্যই ওই ঘটনা আদর্শ কিছু নয়। তার ওপর যে সময়ে ঘটেছে, সেটি ঠিক ছিল না। তবে আমি জানতাম আমার ক্রিকেট থেকে ছুটি ছিল। তবে, এ ঘটনার পর আমার পাশে থাকার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। সবার সহযোগিতার জন্যই আমি দ্রুত ফিরে আসতে পেরেছি। অনুশীলন, জিম- সব শুরু করতে পেরেছি।’

অবশ্য ম্যাক্সওয়েলের এটিই প্রথম কোনো দুর্ঘটনা নয়। সর্বশেষ বিশ্বকাপে গলফ কার্ট থেকে পড়ে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। এ কারণে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটিই খেলতে পারেননি এ ক্রিকেটার।

তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক বন্ধুর পেছনে ছুটতে গিয়ে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে ফেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। সে দুর্ঘটনার পর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং বিগ ব্যাশের পুরো মৌসুম বাইরে থাকতে হয়েছিল।

ম্যাক্সওয়েলের এমন খামখেয়ালিপনায় মুখ খুলেছিলেন কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডও। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের প্রতি আরেকটু সচেতন হতে হবে। অফ দ্য ফিল্ডে নিয়ন্ত্রিত জীবন তাঁর ক্যারিয়ারকে আরো সমৃদ্ধ করবে।’

তবে কোচের এমন সতর্কবাণীতে মোটেই প্রত্যুত্তর করেননি ম্যাক্সওয়েল। তিনি বরং সব মেনে নিয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোচ, বেইলি, সবাই আমার পাশে ছিল। ওরা এক কথায় দুর্দান্ত।’

এ দিকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি নিয়ে তেমন কোনো উচ্ছ্বাসই প্রকাশ করেননি ম্যাক্সওয়েল নিজে।

সেঞ্চুরি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সকালে ঘুম থেমে উঠলাম। এরপর ক্রিজে যখন আসলাম, বেশ ভাল বোধ করলাম। মজা পেয়েছি। খেলেছি। মজার ব্যাপার হলো, রাতেই ভাবছিলাম, কেউ একজন সেঞ্চুরি পাবে। সৌভাগ্যবশত, সেটা আমিই করলাম।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link