সুপার এইটের শেষ ম্যাচে রেকর্ড গড়ে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে আফগানিস্তান। ফলে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পৌছালো তাঁরা।
বিশ্বকাপে মঞ্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম জয়। এর আগে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি আফগানরা। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকাপে দেখা হয় তাঁদের। ম্যাচটি খুব সহজেই ৯ উইকেট জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের তিন দেখাতেও জয়ী হয়েছিল বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের আগে মাত্র দুইটি দল আইসিসি র্যাংকিং এর প্রথম আটের বাহিরে থেকে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছিল। ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কেনিয়া সেমিফাইনালে জায়গা করে প্রথম এমন দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে বাংলাদেশও চ্যাম্পিয়নস ট্রিফিতে তা করে দেখিয়েছিল।
এছাড়াও এই ম্যাচে রেকর্ড করেছেন রশিদ খান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবকে ছাড়িয়ে সব থেকে বেশি নয়বার চার উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব এখন তাঁর। এর সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো চার উইকেট শিকার করে অজান্তা মেন্ডিস, সাঈদ আজমল ও এনরিখ নর্কিয়া সাথে প্রথমে স্থানে এসেছেন তিনি। ১৫২ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও গড়লেন রশিদ।
বাংলাদেশি ব্যাটার লিটন দাসও গড়েছেন রেকর্ড। মাত্র তৃতীয় উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। যেখানে অন্য প্রান্তে সকল ব্যাটার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান। ২০০৯ সালে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে উইন্ডিজ বস ক্রিস গেইল সর্ব প্রথম এমন নজির গড়েন। এছাড়াও ২০২৩ সালে ঘানার রিচমন্ড বালেরিও একই রকম নজির গড়েন।
রেকর্ড গড়েছেন গুরবাজ-জাদরান জুটিও। ২০২১ সালে গড়া বাবর-রিজওয়ান জুটির ৪১১ রানকে ছাড়িয়ে চলমান বিশ্বকাপে মোট ৪৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন তাঁরা। যা এক বিশ্বকাপে কোনো জুটির সর্বচ্চ রান। এছাড়াও এক বিশ্বকাপে ৪ বার ৫০ রানের জুটি গড়া প্রথম ব্যাটার গুরবাজ-জাদরান।
এছাড়াও কেনসিংটন ওভালে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচই প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছে। যার ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ভেন্যুতে প্রথমে ব্যাট করা দলগুলোর অপরাজিত থাকার রেকর্ড এটি।