২০২৩ সালে ক্রিকেটের দুটি বড় আসর অনুষ্ঠিত হবার কথা ভারত ও পাকিস্তানে। এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু এশিয়া কাপ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হলে ভারত সেখানে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। অন্যদিক ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে না এলে পাকিস্তানও ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না বলে হুমকি দিয়েছে। তবে পাকিস্তান নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে কিনা সে নিয়ে সন্দিহান খোদ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।
সারা বিশ্বেই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাজার ভারতে। প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের দেশকে আইসিসিও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে সেটিই স্বাভাবিক। ভারতকে ছাড়া এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজন করবে সেটিও আপাত পক্ষে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এদিকে এসিসির সভাপতি জয় শাহ নিজেও একজন ভারতীয়।
কিছুদিন আগেই এসিসির বৈঠকে এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের স্রেফ কথা, ভারত না এলে তারাও ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলবে না।
ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবশ্য মনে করেন না পাকিস্তান বিশ্বকাপ বর্জন করতে পারবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘ এশিয়া কাপ পাকিস্তানেই হওয়ার কথা। কিন্তু ভারত ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে, যদি এটা পাকিস্তানে হয়, তাহলে সেখানে অংশ নেবে না। পাকিস্তান এশিয়া কাপ করতে না পারলে ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আসবে না বলে জানিয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, পাকিস্তান তা করতে পারবে না।’
পাকিস্তানও অবশ্য নিজের অবস্থানে কতটা শক্ত থাকতে পারে সেটি নিয়ে তারা সন্দিহান। সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক শহীদ আফ্রিদিও মনে করেন পাকিস্তান নিজেদের অবস্থানে শক্ত থাকতে পারবে না। ‘কেউ যখন নিজের পায়ে শক্ত করে দাঁড়াতে অক্ষম, তখন কোনো বিষয়ে শক্তিশালী সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আসলেই অনেক কঠিন।’
‘এখানে অনেক বিষয় চলে আসবে। পাকিস্তানকে এগুলো ভাবতে হবে। ভারত এসব কথা বলার সাহস পাচ্ছে। কারণ, তারা মনে করে তাদের পায়ের নিচে মাটি শক্ত। তারা নিজেদের শক্তিশালী করেছে। সে কারণেই তারা এভাবে কথা বলছে। দিনের শেষে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হলে অবশ্যই নিজেকে শক্তিশালী বানাতে হবে।’
তবে আর ৬ মাসেরও কম সময় বাকি যে এশিয়া কাপের সেটি নিয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা উচিত বলেও মনে করেন আফ্রিদি, ‘আমি জানি না ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে আসবে কি না, পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে কি না, তবে একটা যেকোনো সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আইসিসির ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক।’ তবে আইসিসি ঠিকমতো এ ভূমিকা পালনে সক্ষম কি না, সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে আফ্রিদির, ‘আমার সন্দেহ আছে ভারতের সামনে আইসিসি ঠিকঠাক নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না।’