যত কাণ্ড শেষ ওভারে!

ভারত-ইংল্যান্ড মহারণের সমস্ত নাটকীয়তা যেন দিনের শেষ ওভারে গিয়ে ঠেকলো। তৃতীয় দিনের বিকেল জুড়ে উত্তেজনা আর আগ্রাসনের উত্তাপ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।

ভারত-ইংল্যান্ড মহারণের সমস্ত নাটকীয়তা যেন দিনের শেষ ওভারে গিয়ে ঠেকলো। তৃতীয় দিনের বিকেল জুড়ে উত্তেজনা আর আগ্রাসনের উত্তাপ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে শেষ মুহূর্তে এসে ৩৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইন্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডও করেছিল ওই ৩৮৭। যেন দুই দলই কাটায় কাটায় সমানে সমান।

ভারত যখন অলআউট হলো, দিনের নির্ধারিত সময় তখনও বাকি। ইংলিশ যথারীতি ব্যাট হাতে নামলো। কোনো নাইটওয়াচম্যান নয়, একেবারে নিয়মিত দুই ওপেনারই আসলো ক্রিজে।

সর্বোচ্চ গেলে দুই ওভার শেষ করার মতো সময় ছিল। তাই তো শেষ মুহূর্তে কোনো ঝুঁকি নয়, উইকেট বাঁচিয়েই ফিরতে হবে ড্রেসিংরুম। আর এতেই যেন বাধলো যত বিপত্তি।বুমরাহর ওভারের তৃতীয় বল করার সময় ব্যাটিং পজিশন থেকে সরে দাঁড়াতে থাকেন জ্যাক ক্রলি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জসপ্রিত বুমরাহ। তাঁর চেহারায় ফুটে ওঠে আক্রমণাত্মক মনোভাব।

তবে সবচেয়ে আগ্রাসী ছিলেন অধিনায়ক গিল, যিনি কিছু কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গিও করেন ক্রলির দিকে তাকিয়ে—যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। মোহাম্মদ সিরাজ যেন আরও এক কাঠি সরেষ। স্লেজিংয়ের জন্য যে আলাদা সুনাম রয়েছে তাঁর, সেটারই এক বাস্তব প্রয়োগ দেখান, কটূ মন্তব্যের বান ছুড়ে দেন ক্রলির উদ্দেশে।

তবে এটা ছিল নাটকের ট্রেইলার। সময় নষ্ট করার জন্য যা যা করা লাগে, সেটাই যেন করলেন জ্যাক ক্রলি। বুমরাহর করা ওভারের পঞ্চম বলে একটি লেংথ ডেলিভারি গ্লাভসে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গেই ফিজিওকে ডাকেন, যা ভারতীয় খেলোয়াড়দের আরও রাগিয়ে তোলে।

সবাই মিলে একত্র হয়ে বিদ্রূপ করে হাততালি দিতে শুরু করেন। ক্রলিও এতে চটেছেন বেশ, মাঠেই ভারতের একাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন বেন ডাকেট ও শুভমান গিল একে অপরকে জবাব দিতে শুরু করেন।

পরবর্তীতে অবশ্য আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়। শেষ পর্যন্ত ওভারের শেষ বলটি খেলে দিন শেষ করেন জ্যাক ক্রলি, তবে তাঁর দৃষ্টিকটু সময়ক্ষেপণ যে কাজে দিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link