বিপিএলের প্রথম আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার ছিলেন তিনি। তবে এরপর যত সময় গড়িয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি আহমেদ শেহজাদ। ২০২০ সালের পর তো নিজ দেশের লিগ পিএসএলেই আর সুযোগ হয়নি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি যে ফুরিয়ে যাননি, তা প্রমাণের মঞ্চটাই আর শেহজাদ পাচ্ছিলেন না। অবশেষে পেলেন। শোয়েব মালিকের স্থলাভিষিক্ত হয়ে বিপিএলের মঞ্চে নেমেই তুললেন ঝড়। স্বরূপে প্রত্যাবর্তনের দিনে খেললেন ১৭ বলে ৩৯ রানের একটি ইনিংস।
পাকিস্তানের ঘরোয়া আরেকটি টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের সর্বশেষ আসরেও তিনি ছিলেন দারুণ ছন্দে। ১৩৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৩৪৪ রান। তবুও ব্রাত্যই থেকে যান তিনি। পিএসএল ড্রাফটেও তাঁর এই ফর্মের যোগ্য মূল্যায়ন করেনি কোনো দল। এ নিয়ে রীতিমতো আক্ষেপও ঝরেছিল এ ব্যাটারের মুখ থেকে।
পিএসএলে না হলেও অবশেষে বিদেশি কোনো লিগে এসে ঠিকই নিজের ব্যাটিং দৃঢ়তা সক্ষম হলেন আহমেদ শেহজাদ। ফরচুন বরিশালের হয়ে ইনিংসের শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি।
ফরচুন বরিশালের জন্য লক্ষ্যটা ছিল বড়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সদের ছুড়ে দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে বরিশালের প্রয়োজন ছিল শুরুতেই উড়ন্ত এক সূচনা। বরিশালের হয়ে সেই কাজটাই করেছেন শেহজাদ। শুরুটা করেন প্রথম ওভারেই। শুভাগতর স্পিনের সামনে প্রথম ছক্কাটা হাঁকাতে সময় নেন মাত্র ৫ বল।
এরপর শহিদুল থেকে আল আমিনকে— সবার উপরেই চড়াও হন তিনি। তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে-তে দুর্দান্ত সূচনা পায় বরিশালও। তবে ফিফটির পথে হেঁটেও শেষ পর্যন্ত তা পাননি শেহজাদ। বিলাল খানের বলে ক্যাম্ফারের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সেখানেই।
তবে আহমেদ শেহজাদের গড়ে দেওয়া সেই ইনিংসের রানগতি আর ধরে রাখতে পারেননি কেউ। উল্টো নিয়মিত বিরতিতে তামিম, সৌম্য, রিয়াদরা ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে বরিশাল। সেই চাপ ঠেলে পরবর্তীতে মিরাজ, মুশফিক আশার আলো দেখালেও শেষ পর্যন্ত তা আর জয়ের দ্বার উন্মোচিত করতে পারেনি৷
তবে বরিশালের হ্যাটট্রিক হারের দিনেও প্রাপ্তি হয়ে রইল আহমেদ শেহজাদের বিপিএলে প্রত্যাবর্তন। এ প্রত্যাবর্তনে জয়ী হয়ে মাঠ না ছাড়লেও নিজের সাথে লড়াইয়ে ঠিকই জিতেছেন এ ব্যাটার৷