আমি হাত দিয়ে যা ছুঁই, তাই স্বর্ণ হয়ে যায়- আকবর আলী চাইলেই এমন কথা বলতে পারেন জোর গলায়। কেননা তিনি যে আরও একটিবার জিতেছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় দফা ঘরোয়া এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হলেন আকবর।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জনটা এসেছে আকবরের হাত ধরেই। ২০২০ সালে তিনি বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা। আন্তর্জাতিক ওই শিরোপা জয়ের পর থেকেই যেন আকবরের নেতৃত্ব গুণ নিয়ে প্রশংসা সর্বত্র। সেই প্রশংসার বলয়কে ঘনিভূত করবার কাজটা তিনি করে যাচ্ছেন ঘরোয়া সার্কিটেও।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে তিনি রংপুরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দারুণভাবে। প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুরকে টপকাতে হয়েছে সমীকরণের বিশাল বাঁধা। দলকে উজ্জীবিত রেখেছেন, দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলে থাকা অস্ত্রগুলোর পরিপূর্ণ ব্যবহার করে তিনি সেই বাঁধা টপকেছেন।
শুধু কি তাই, শিরোপা রক্ষা করার জন্যে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে বেশ কঠিন একটা পথ। প্রথম এলিমিনেটরে কষ্টার্জিত এক জয় পেয়েছিল রংপুর, ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ২৭ বলে ৪৪ রানের ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ফাইনালের পথে এগিয়ে দিয়েছেন।
এরপর টেবিল টপার চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে চার উইকেটে জয় পাওয়া ম্যাচেও আকবরের ব্যাট ছিল দারুণ সরব। ২১ বলে ৪০ রানে তিনি দলের জয়ের পথ সুগম করেন। ফাইনালে অবশ্য ততটাও কষ্ট করতে হয়নি তার। একটা দারুণ থ্রোতে এনামুল হক বিজয়ের উইকেটে তুলে নেন তিনি। সেখানেই বরং খুলনার জয়ের সম্ভাবনা কমে গেছে অনেকটাই। এটাও কি অবদান নয়?
রংপুরের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ে, এদফা ব্যাট হাতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২২২ রান নিয়েছেন তিনি ১৪৭.০২ স্ট্রাইকরেটে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচে দায়িত্বশীল ও কার্যকর ইনিংস খেলেছেন। আকবর প্রতিটা পদে পদে প্রমাণ করছেন স্রেফ ভাগ্যের জোরে নয়, নিজের মেধা ও নিজের প্রতিভার জোরেই তার হাতে শোভা পাচ্ছে শিরোপা।