আল ফাহাদ স্ফুলিঙ্গকে করেছেন উজ্জ্বল মশাল

আত্মবিশ্বাসের স্ফুলিঙ্গকে উজ্জ্বল মশালে পরিণত করেছেন মূলত আল ফাহাদ। 

আরও একটি শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল, সংগ্রহ যে খুব অল্প ছিল। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের স্ফুলিঙ্গকে উজ্জ্বল মশালে পরিণত করেছেন মূলত আল ফাহাদ।

এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ফাইনালে পছন্দের প্রতিপক্ষ ভারত। কিন্তু টসে হেরে প্রথম ব্যাটিং করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কিন্তু ব্যাটিং ইনিংসটা খুব একটা যুতসই হয়নি। সংগ্রহ ছিল মোটে ১৯৮ রানের।

এই মামুলি সংগ্রহই ছিল শিরোপা ধরে রাখার পুঁজি। অন্যদিকে ভারতের ওপেনিং জুটি এবারের আসরে তাদের সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। সেই জুটি বাইশ গজে থিতু হলেই বিপদ হতে পারত বাংলাদেশের। সেটি নিশ্চয়ই আগে থেকেই জানা ছিল আল ফাহাদদের।

তাইতো একেবারেই শুরুতেই ভারতের ব্যাটিং দূর্গে আঘাত করেন তিনি। টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল ব্যাটার আয়ুশ মাহাত্রেকে আউট করেন তিনি। টুর্নামেন্টে ১৭৬ রান করা আয়ুশকে বোল্ড আউট করেন আল ফাহাদ। মাত্র ১ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আয়ুশ।

তখন ভারতের স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ স্রেফ চার রান। সেখান থেকেই বাংলাদেশ আবার নিজেদের উপর বিশ্বাস করতে শুরু করে। নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে শুরু করে। এরপর তো শিরোপাই নিজেদের করে নিয়েছে। দ্রুত সেই উইকেট প্রাপ্তিই আসলে বদলে দিয়েছে গোটা ম্যাচের ফলাফলের দৃশ্যপট।

আল ফাহাদ স্রেফ একটি উইকেট নিয়েই নায়ক বনে যাননি। তিনি গোটা যুব এশিয়া কাপ জুড়েই ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফরমার। ফাইনাল ম্যাচেও তিনি বাগিয়েছেন দুইটি উইকেট। সব মিলিয়ে ১২ খানা উইকেটের মালিক তরুণ এই ডানহাতি পেসার।

ধারাবাহিকভাবে পারফরম করে গেছেন তিনি গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে। বাংলাদেশের পেসারদের নবউত্থানের যুগে তিনিও যেন পাইপলাইন পোক্ত করতে চাইছেন। যুব পর্যায়ে এখনও সবচেয়ে বড় অর্জনটা পাওয়া বাকি। বিশ্বকাপ প্রাপ্তিতেও নিশ্চয়ই নিজেকে উজাড় করে দিতে চাইবেন আল ফাহাদ। তবেই তো মিলবে তৃপ্তি।

Share via
Copy link