বোলারদের আধিপত্য ভেঙে অবশেষে ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট দেখা গেলো চলতি বিপিএলে। চট্টগ্রামে খেলা শুরু হতেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে দেখা গেলো ব্যাটারদের। তবে সেটা অভিশাপ হয়েই এলো আল আমিন হোসেনের জন্য। বল হাতে কেবল ছন্দহীন থাকেননি তিনি, গড়েছেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডও।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড গড়েছেন এই পেসার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬৯ রান করেছেন তিনি, বিপরীতে উইকেট পাননি একটিও। সবমিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতই একটা ম্যাচ গেলো তাঁর জন্য, কিন্তু এমন ম্যাচ সহজে ভুলতে পারার কথা নয়।
দিনের প্রথম ওভারটা ঠিকঠাক করেছিলেন এই ডানহাতি, কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে এসে হজম করেন ২৭ রান। সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল তখনি, শেষ দুই ওভারে দিয়েছেন আরো ৩৪ রান।
অবশ্য এই চট্টগ্রাম বরাবরই বোলারদের জন্য ভয়ানক। বিপিএলে সর্বোচ্চ রান খরচের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় রেকর্ড দুইটিও এখানে হয়েছিল। ২০১৯ সালে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে নাসির হোসেন চার ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৬০ রান – লম্বা একটা সময় এটিই ছিল সবচেয়ে খরুচে বোলারের রেকর্ড, যদিও এই ম্যাচে দুইটি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
একই আসরেই দিন কয়েক আগে কুমিল্লার বিপক্ষে মোহাম্মদ সাদ্দাম চার ওভার বল করে ৫৯ রান খরচ করেছিলেন। এভিন লুইসের তান্ডবের কাছে সেদিন অসহায় হয়ে পড়েছিলেন তিনি, উইকেটশূন্য থেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে।
খরুচে বোলিংয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় একমাত্র বিদেশি হিসেবে আছেন রবি ফ্রাইলিংক। সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে সেদিন বাকি বোলাররা ভাল করলেও এই মিডিয়াম পেসার বারবার খেই হারিয়েছিলেন, তাই তো সিলেটের করা ১৫৭ রানের মাঝে তিনি একাই দিয়েছেন ৫৮ রান।
তারপরের জায়গাটা আবার আল আমিনের দখলে, চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২০১৯ সালেই ৫৭ রান খরচ করেছিলেন তিনি। যদিও চার ওভারে ৫৭ রান খরচ করা বোলারদের সংখ্যা নেহাত কম নয়; এখন পর্যন্ত মেহেদী হাসান রানা, আবু হায়দার রনি এবং রবিউল হকের মত পেসাররা এই ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন।