ক্যারির প্রতিরোধে থেমেছে ইংরেজ জলোচ্ছ্বাস

সফরকারীদের উচ্ছ্বাসের স্রোতে ক্যারি বাঁধা হয়ে না দাঁড়ালে, জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটায় এলোমেলো হয়ে যেতে পারত অস্ট্রেলিয়ার দাপটের সংসার।

ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে অ্যালেক্স ক্যারি বাজিয়ে গেলেন প্রতিরোধের নিনাদ। ব্যাটটা উঁচিয়ে ধরে গ্যালারিতে থাকা স্ত্রী-কে উৎসর্গ করলেন সংগ্রামী সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়ার মান বাঁচিয়ে, বনে গেছেন দুঃসময়ের কাণ্ডারি।

অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ড নেমেছিল প্রত্যাবর্তনের ব্রত নিয়ে। ৯৪ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৪ উইকেট তুলে নিয়ে, ফিরে আসার রণ সংগীত বাজান জোফরা আর্চার, ব্রাইডন কার্সরা। অজিদের দম্ভের ইতি ঘটিয়ে পুর্নজাগরণের বার্তা দিতে শুরু করেছিল ইংলিশ বোলিং ইউনিট।

কিন্তু তাদের আক্রমণের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান অ্যালেক্স ক্যারি। আগের টেস্টেই তার উইকেটকিপিং প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বত্র। অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের ১৪০ কিলোমিটার গতির বলকে তোয়াক্কা না করে, ক্যারি দাঁড়িয়েছিলেন উইকেটের একেবারে পেছনে। দ্রুততার সাথে আসা বলগুলো দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করে খানিকটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিলেন। চাপে রেখেছিলেন ইংলিশ ব্যাটারদের।

সেই ক্যারি তৃতীয় টেস্টে ব্যাট হাতে হাজির হলেন দলের ত্রাণকর্তা হয়ে। উসমান খাজা, জশ ইংলিশ, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক- অপরপ্রান্তে চরিত্র বদলেছে, কিন্তু ক্যারি ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ৩১৯ বল ধরে। যার মধ্যে নিজে সামলেছেন ১৪৯টি বল। উইল জ্যাকসের বলে জেমি স্মিথের হাতে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে অবধি করেছেন ১০৬ রান।

চারটি ভিন্ন জুটিতে ২২৭ রান সংগ্রহের কাজটা করে গেছেন, সতীর্থদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তাতে করে বিপর্যয়ের ঠিক দ্বারপ্রান্ত থেকে ঘুরে এসে, অস্ট্রেলিয়া বেশ শক্ত এক অবস্থানে নিজেদের দেখতে পাচ্ছে প্রথম দিন শেষে। ৩২৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের উচ্ছ্বাসের স্রোতে ক্যারি বাঁধা হয়ে না দাঁড়ালে, জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটায় এলোমেলো হয়ে যেতে পারত অস্ট্রেলিয়ার দাপটের সংসার।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link