তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন, টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরাদের একজন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য সব ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে, ম্যাচ জিতিয়েছেন – সেই অ্যালেক্স হেলস সাফ জানিয়ে দিলেন নেটে তিনি নাহিদ রানার বল এড়িয়ে চলেন।
গতির ঝড় তুলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবির্ভাব নাহিদ রানার। নিয়মিত ১৪৫ থেকে ১৫২-৫৩ গতিতে তিনি নিয়মিত বোলিং করেন। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান কিংবা ভারতীয় ক্রিকেট দল নাহিদ রানার এই গতির আগুনে পুড়েছে।
টেস্ট থেকে শুরু। এরপর সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও নাহিদ রানা গড়েছেন গতির বিস্ময়। সেই ধারাবাহিকতা আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)।
এই বিপিএল দিয়েই তাঁর উত্থান। এবারের আসর খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই তাঁর সতীর্থ এখন ইংলিশ পাওয়ার হিটার অ্যালেক্স হেলস।
যদিও নেটে তাঁদের দেখা হচ্ছে না বললেই চলে। স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এই ওপেনার জানান, নাহিদকে নেটে খেলতেও ভয় লাগে তাঁর।
হেলস বলেন, ‘না না, আমি ওকে নেটে খেলি না। হি ইজ টু কুইক ফর মি! গেল বার খুলনা টাইগার্স দলে নেটে ওকে পেয়েছি। ওর বল খেলার জন্য আমি আসলে বুড়ো হয়ে গেছি। নেটে এখন শুধু থ্রোয়ারদের বোলিং খেলি।’
কে বলবে এই অ্যালেক্স হেলসই টি-টোয়েন্টির হট কেক। বিশ্বজুড়ে প্রায় সব গুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটই খেলেন তিনি। তিনি এতটাই বিধ্বংসী যে বিশ্বকাপ জিতে অবসর ভাঙিয়ে তাঁকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে এনেছিল ইংল্যান্ড দল।
তাহলে কেন এত ভয় নাহিদ রানাকে খেলতে ? কারণ হল, গতির সাথে আজকাল লাইন লেন্থেও বেশ নিখুঁত নাহিদ রানা। এই দুইয়ের মিশেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই বিরল। এই গোলা সামলানোর সাধ্য কার। ব্যাটারদের কেবল প্রার্থনা করাই ভরসা।