একটা নিঃসঙ্গ লড়াই চালিয়ে গেলেন অ্যালেক্স রস। তার করা ফিফটিটা স্রেফ যেন ছিল মান বাচানোর। দলের বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিল ছাপিয়ে তিনি রান করে গেলেন আপন গতিতে। তবুও রান তোলার গতিতে পড়তে দেননি ভাটা। খোলসে বন্দী করে ফেলেননি নিজেকে।
বেশ দূর্বল একটা দলই ছিল দুর্দান্ত ঢাকা। অন্তত প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে কাগজে-কলমে তেমনই মনে হয়েছিল। তবে দলটি চমক দেখায় প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে। এরপরে চমক হিসেবেই অ্যালেক্স রসকে দলে ভিড়িয়েছিল দলটি।
অ্যালেক্সের টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতাই প্রত্যাশা বাড়িয়েছিল ঢাকার। সেই প্রত্যাশার প্রতিদান তিনি দিতে শুরু করেছেন। তবে বাকিরা যেন হাটতে শুরু করেছেন পেছনের দিকে। নিজের প্রথম ম্যাচে নেমেই অর্ধশতকের দেখা পেলেন রস। ১৪৫ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ঢাকার মিডল অর্ডার সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
তবে দিনশেষে হতাশাই হয়েছে তার সঙ্গী। রংপুর রাইডার্সের দেওয়া ১৮৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে, ঢাকার শুরুটা হয়েছিল মন্থর গতিতে। বেশ লম্বা একটা পথই পাড়ি দিতে হত ঢাকাকে। তবে ঢাকার টপঅর্ডারে দুরন্ত সূচনার তাড়না ছিল অনুপস্থিত।
নিয়মিত বিরতিতে প্যাভিলনের পথ ধরেছেন ঢাকার অধিকাংশ ব্যাটার। ব্যতিক্রম ছিলেন স্রেফ অ্যালেক্স রস। সদ্যই বিগ ব্যাশ থেকে ফেরা অ্যালেক্স জয়ের দিকেই রেখেছিলেন নজর। যোগ্য সঙ্গটা তাকে দিতে পারেনি কেউই। আস্কিং রানরেটের সাথে পাল্লা দিয়ে একপ্রান্ত থেকে রান তুলেছেন অ্যালেক্স রস।
৫১ রানের ইনিংসটিতে ৭টি বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ছক্কাও এসেছে অ্যালেক্সের ব্যাট থেকে। এমনকি দলের অর্ধেক রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। শেষ ব্যাটার হিসেবে তাসকিন আহমেদ ব্যাট করতে নামেননি। তাতেই ১০৪ রানে থমকে যায় ঢাকার ইনিংস।
নিজের ইনিংসের ৩৫তম বলে আউট হওয়ার আগে দলের মান বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টাই করেছেন। এমনকি শেখ মেহেদীর বলে বড় শট খেলতে গিয়েই বোল্ড হয়েছেন অ্যালেক্স। একেবারে নিরুপায় হয়েই তাকে হাত চালিয়ে খেলতে হয়েছে। কেননা তিনি যখন আউট হয়েছেন তখন ঢাকার জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৬২ রানের।
স্বাভাবিকভাবেই জয়ের কাছাকাছি যাওয়ার প্রচেষ্টাই করেছেন তিনি। তবে এদিন ব্যর্থতার মিছিলেই অংশ নিতে হয়েছে তাকে। তবে তিনি একটা বার্তা অবশ্য দিলেন। দুর্দান্ত ঢাকা চাইলেই তার উপর ভরসা রাখতে পারে। তবে এর আগে প্রয়োজন বাকিদের সরব অংশগ্রহণ।