জুলিয়ান আলভারেজ, অবহেলার উপযুক্ত জবাব

বাকিটা ছিল জিউলিয়ানো সিমিওনের সাথে তাঁর বন্ধনের প্রদর্শনী। তিনি বল বাড়িয়ে দেন সতীর্থের দিকে, ফিরতি পাসে আবার তাঁকে খুঁজে নেন সিমিওনে। ততক্ষণে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান ভি ওয়ান পরিস্থিতিতে চলে এসেছেন এই আর্জেন্টাইন। সেখান থেকে গোল করাটা কঠিন ছিল না তাঁর জন্য।

গোল অব দ্য উইকের জন্য জুলিয়ান আলভারেজকে হয়তো নিজের সাথেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। কেননা স্পার্টা প্রাগের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন, যার দুইটিই একেবারে মনের পর্দায় গেঁথে যাওয়ার মতো। পুরো ম্যাচ জুড়েই তিনি আসলে প্রমাণ করেছেন কেন ম্যানচেস্টার সিটির মত ক্লাব ছেড়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে আসা।

শুরুটা হয়েছিল পনেরো মিনিটের সময়। বিশ গজের বেশি দূরত্বে ফ্রি কিক পেয়েছিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, প্রাগের গোলরক্ষক পিটার জেনসেন সেজন্যই বোধহয় খুব একটা সতর্ক ছিলেন না। কিন্তু আলভারেজ যা করলেন সেটা অবিশ্বাস্য, তাঁকে ঝাঁপ দেয়ার সুযোগটুকু পর্যন্ত দেননি। একেবারে নিখুঁত প্লেসমেন্টে খুঁজে নিয়েছেন জালের ঠিকানা।

পরের গোলটা আরো দুর্দান্ত, আরো জাদুকরী। নিজের অর্ধে বল পেয়েছিলেন এই তারকা। এরপরই ছুটতে শুরু করেছেন গোলের নেশায়, বিদ্যুৎ গতিতে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে যান।

বাকিটা ছিল জিউলিয়ানো সিমিওনের সাথে তাঁর বন্ধনের প্রদর্শনী। তিনি বল বাড়িয়ে দেন সতীর্থের দিকে, ফিরতি পাসে আবার তাঁকে খুঁজে নেন সিমিওনে। ততক্ষণে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান ভি ওয়ান পরিস্থিতিতে চলে এসেছেন এই আর্জেন্টাইন। সেখান থেকে গোল করাটা কঠিন ছিল না তাঁর জন্য।

দুই গোল করেছেন, চারটা সুযোগ তৈরি করেছেন, পাঁচটা ডুয়েল জিতেছেন – সংখ্যাতত্ত্ব বিবেচনায় দারুণ একটা ম্যাচ পার করেছেন তিনি। তবে রাইট উইং আর সেন্টারে যে ঝড় তিনি তুলেছেন সেটা সংখ্যাতত্ত্বে ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব! তাঁকে ঠেকানোর কোন মন্ত্রই আসলে জানা ছিল না প্রাগের। এছাড়া আরেক আর্জেন্টাইন অ্যাঞ্জেল কোরেরা করেছেন জোড়া গোল – আলবিসেলেস্তাদের জন্য উপভোগ্য ম্যাচ ছিল বটে।

পেপ গার্দিওলার মূল পরিকল্পনায় কখনোই ছিলেন না আলভারেজ, অথচ এখন তিনি দিয়েগো সিমিওনের হাতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছেন। জীবনে এজন্যই ঝুঁকি নিতে হয় – সবাইকে বিস্মিত করে দেয়া সাইনিং এখন হতে যাচ্ছে সময়ের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত।

Share via
Copy link