হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে আসলেন আরিফুল হক, লম্বা একটা সময় ক্যামেরার আড়ালে থাকার পর চলতি বিপিএল দিয়ে আবারো লাইমলাইটে ফিরলেন তিনি। শুধু আলোচনাতেই ফিরলেন না, জাতীয় দলে তাঁকে পুনরায় সুযোগ দেয়ার দাবিও তুলেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভর মত একসময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার।
ডু অর ডাই ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই ম্যাচে সিলেট হারলেও শেষপর্যন্ত লড়াই করেছিলেন আরিফুল, খেলেছিলেন ৩১ বলে ৫৭ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর এমন বীরত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স।
তবে হইচই সৃষ্টি হয়েছে সাবেক অলরাউন্ডার শুভর একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে। সেখানে তিনি লিখেন যে, ‘আমরা তাঁর (আরিফুল) প্রতিভা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এখনো খুব দেরি হয়নি, আমরা লোয়ার মিডল অর্ডারে ভাল ব্যাটার খুঁজছি তাই অনুগ্রহ করে এই প্রতিভাবানের দিকে চোখ রাখুন।’
আলোচিত পোস্টের প্রথম অংশ আসলে আংশিক সত্য; ২০১৮ সালে জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। যদিও ব্যাটে, বলে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। অভিষেকের বছরে নয়টি টি-টোয়েন্টি, একটি ওয়ানডে আর দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলে কোথাও বলার মত পারফরম্যান্স করতে পারেননি।
বিশ ওভারের সংস্করণে এই ডানহাতি মাত্র ১৪.৭৫ গড় আর ৯৫ স্ট্রাইকরেটে ৫৯ রান করেছেন। এবং টেস্টে চার ইনিংসে মোট ৮৮ রান করেছেন। অন্যদিকে বল হাতে কেবল দুই উইকেট আছে তাঁর অর্জনের খাতায় – সবমিলিয়ে তাই ফ্লপই বলা চলে তাঁকে।
এরপর থেকে তিনি হারিয়েই গিয়েছিলেন লাল-সবুজের ক্রিকেটাঙ্গন থেকে; তবে চলতি বিপিএলে কিছুটা হলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন কিন্তু সেটা কোনভাবেই জাতীয় দলে ফেরার জন্য যথেষ্ট নয়।
তাছাড়া আরিফুল হকের বয়সও তাঁর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেজন্য এখন প্রতিভাবান হিসেবে দলে জায়গা দেয়ার বিলাসিতা করার সুযোগ নেই – নিজেকে প্রমাণ করেই ফিরতে হবে তাঁকে, সেটা যে বেশ কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।