ইমাদ ওয়াসিম, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি। গত বছর অভিমান করেই অবসর নিয়েছিলেন, কিন্তু জাতীয় দলের স্পিন বিভাগের হতাশাজনক পারফরম্যান্স আর ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ধারাবাহিকতার সুবাদে অবসর থেকে ফেরানো হয় তাঁকে। সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও একাদশে ছিলেন তিনি।
বল হাতে এদিন তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৩ রান খরচ করেছেন এই স্পিনার; বিনিময়ে শিকার করেছেন একটি উইকেট। বাকি বোলারদের তুলনায় এদিন তাঁর পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না অবশ্য। কিন্তু সর্বোপরি টিম ম্যানেজম্যান্টের উদ্দেশ্য কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এমন প্রশ্ন উঠেছে এখন।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে প্রায় ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। তাঁর প্রত্যাবর্তনের পর থেকে আটটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে পাকিস্তান, এর মধ্যে তিনি একাদশে ছিলেন পাঁচ ম্যাচে। এ সময় আহামরি পারফর্ম করেছেন সেটা বলার অবশ্য সুযোগ নেই, তবে একেবারে হতাশ করেননি।
এই পাঁচ ম্যাচে ইমাদ সব মিলিয়ে বল করেছেন ১৫ ওভার আর রান দিয়েছেন ৭.২৭ ইকোনমিতে। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, আঁটসাঁট বোলিং ঠিকঠাক করতে পেরেছেন তিনি। তবে উইকেট তোলার ক্ষেত্রে তাঁর মুন্সিয়ানা দেখা যায়নি, স্রেফ তিন উইকেট পেয়েছেন সবমিলিয়ে।
যদিও ব্যাট হাতে ইতোমধ্যে মনে রাখার মত ইনিংস খেলেছেন এই হার্ডহিটার। মাত্র দুইবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন, এরই মাঝে একবার অপরাজিত ২২ রানের ক্যামিও খেলে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয়ের খুব কাছে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে ভাগ্যের আশীর্বাদ না থাকায় সেদিন ট্রাজিক হিরো হয়েই থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
মোহাম্মদ নওয়াজের ওপর লম্বা সময় বিনিয়োগ করেও আশানুরূপ ফল পায়নি পাকিস্তান। তাঁর তুলনায় অনেক বেশি ভাল করছেন অবসর ভেঙে ফেরা ইমাদ ওয়াসিম; পুরনো পরিসংখ্যানও তাঁর পক্ষে কথা বলে। তবে তাঁকে আসল পরীক্ষা দিতে হবে বিশ্ব মঞ্চে; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেমন পারফর্ম করেন তিনি সেটাই আপাতত দেখার বিষয়।