অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেই কাঁধে। সুযোগ পেলে করেন ব্যাট। আর স্ট্যাম্পের পিছন থেকে নাড়েন ম্যাচের কলকাঠি। বলা হচ্ছে, চেন্নাই সুপার কিংসে মহেন্দ্র সিং ধোনির বর্তমান সময়ের কথা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২৯ তম ম্যাচে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ২০ রানে হারায় চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচ শেষে মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রশংসা করেন মুম্বাই দলপতি হার্দিক পান্ডিয়া। রোহিত শর্মার শতকের পরেও হেরে যায় মুম্বাই।
এই প্রসঙ্গে হার্দিক বলেন, ‘চেন্নাই সুপার কিংসের কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। তাঁরা সেগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে। তাছাড়া স্ট্যাম্পের পিছনে তাঁদের একজন রয়েছেন। যিনি ম্যাচের সকল কলকাঠি নাড়েন।’
চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াড় প্রশংসায় ভাসান ধোনিকে। তার মতে, ধোনির করা ৪ বলে ২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটিই এই ম্যাচের জয়-পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। ৪২ বছর বয়সী ধোনি প্রথম তিন বলেই করেন ছক্কার হ্যাটট্রিক।
যার ফলে চেন্নাই চার উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করতে সমর্থ হয়। তবে পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলতে সক্ষম হয় মুম্বাই। তাতে করে ব্যর্থ হয় রোহিতের শতক।
ম্যাচ সম্পর্কে রুতুরাজ বলেন, ‘এই ধরণের ভেন্যুতে ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগেই ভাল দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে। বোলিং করার সময় আমরা আমাদের পরিকল্পনায় স্থীর ছিলাম। আমাদের ছোট মালিঙ্গা (মাথিশা পাথিরানা) দারুণ বোলিং করেছে। সঠিকভাবে ইয়র্কার দিতে পেরেছে।’
এই ম্যাচে রাচীন রবীন্দ্রের সাথে আজিঙ্কা রাহানেকে উদ্বোধনী জুটিতে দেখা যায়। চেন্নাই দলপতির ব্যাটিংয়ে কিছুটা দেরিতে আসার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা তেমন কিছু নয়। ভেবেছি সে (রাহানে) ভালো করতে পারবে এবং দ্রুত কিছু রান করতে পারবে। আমি যে কোনো জায়গায় ব্যাট করতে পারি।’
মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনির উপস্থিতিই দলে বাড়তি শক্তি যোগায়। আর ধোনির এই উপস্থিতিই প্রতিপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হয়। যেমনটা হয়েছে সর্বশেষ ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দলপতি হার্দিক পান্ডিয়ার।