দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন সুনীল নারাইন। তাঁর স্বদেশী আন্দ্রে রাসেলও দেখিয়েছিলেন অলরাউন্ডিং নৈপুণ্য। তবে দুইজনকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন অচেনা এক তরুণ, তিনি আঙকৃষ রঘুবনশি। অবশ্য এখন অচেনা বললে ভুল বলা হবে, কেননা এই ম্যাচের পর তাঁকে চেনার বাকি নেই কেউই।
মাত্র ২৭ বল খেলে সেদিন ৫৪ রান করেছিলেন তিনি; পুরো ইনিংস জুড়ে একেবারে সাবলীলভাবে শট খেলেছেন, চোখেমুখে ঠিকরে উঠেছিল আত্মবিশ্বাসের ঝলক। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি আইপিএলের মঞ্চে নতুন এসেছে; অথচ সেদিনই প্রথম আইপিএলে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন এ তরুণ।
ক্রিকেট ভক্তরা তাঁর প্রতিভায় আর পারফরম্যান্সে বিস্মিত হলেও কলকাতার টিম ম্যানেজম্যান্ট আগে থেকেই জানতো সবকিছু। দলটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভেঙ্কি মায়শোর যখন অনুশীলনে এসে সিনিয়র ক্রিকেটারদের জিজ্ঞেস করতেন উদীয়মান ক্রিকেটারদের মধ্যে কাকে সবচেয়ে ভাল লেগেছে, সবাই তখন একবাক্যে আঙকৃষের কথা বলেছে।
তাই তো নিতীশ রানার চোটে পড়ায় এই ডানহাতির ওপরেই ভরসা করে কলকাতা। অভিষেক ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও দিল্লির বিপক্ষে নিজের সেরাটা দেখিয়েছেন। শুরুটাই হয়েছিল অবিশ্বাস্যভাবে, আনরিখ নর্কিয়াকে টানা দুই বলে দুই চার হাঁকিয়ে আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বাকি সময় কেবলই দ্যুতি ছড়িয়েছে তাঁর ব্যাট।
এই নব্য তারকার সাবেক কোচ দীনেশ ল্যাডের মতে, রোহিত শর্মার ছাপ আছে আঙকৃষের মাঝে। ল্যাড বলেন, ‘অভিষেক (নায়ার) আমার কাছে তাঁকে নিয়ে এসেছিল। আমি তখন তাঁর শৃঙ্খলা আর আনুগত্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। রোহিত শর্মার মত আত্মবিশ্বাসী শট খুব কম ছেলেকে খেলতে দেখেছি এবং সে তাঁদের মধ্যে একজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘দিল্লির বিপক্ষে আঙকৃষ যেভাবে খেলেছে সেটা তাঁর আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ। আমি রোহিতের সঙ্গে তাঁর অনেক মিল দেখতে পারছি। আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে সে আরো ভাল করবে।’
১৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার এখন পুরো দেশের প্রশংসায় ভাসছেন। তবে এতটুকুতেই তুষ্ট হওয়ার কোন সুযোগ নেই; তাঁকে এগিয়ে যেতে হবে আরো অনেক দূর। আপাতত সেই লক্ষ্য নিয়েই নিশ্চয় নতুন লড়াই শুরু করবেন তিনি।