মেসির মত এমন সম্মাননা কে না চায়!

মেসি ২০২৪ সালে এম এল এসে মাত্র ১৯ ম্যাচ খেলে ২০গোল এবং ১৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এর ফলে তিনি এম এল এসের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে সক্ষম হয়েছেন।

লিওনেল মেসি তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য ট্রফির মাঝে নতুন করে আরেকটি যোগ করলেন। ২০২৪ মেজর লিগ সকারের (এম এল এস) সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফিটি পেলেন তাঁর ছেলে থিয়াগো মেসির হাত থেকে। ইন্টার মিয়ামির একাডেমি শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি ঘরোয়া খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিশাল অনুপ্রেরণার।

ট্রফি হাতে পাওয়ার পর মেসি বলেন, ‘এটি আমার জন্য খুবই সম্মানের যে আমি তোমাদের কাছে থেকে এই ট্রফিটি পেয়েছি। তোমাদের সকলকে অনুশীলন করতে দেখতে পাওয়া টা আমার জন্য গর্বের। এখানে প্রতিদিন থাকতে পেরে আমি বেশ খুশি। এই ক্লাবে এবং এই শহরে থাকতে পেরে আমি অনেক খুশি। প্রতিনিয়ত তোমাদের অগ্রগতি দেখতে পারা আমার জন্য আনন্দের। আমি চাই তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এভাবেই চেষ্টা করে যাও।’

মেসি ২০২৪ সালে এম এল এসে মাত্র ১৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল এবং ১৬ টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এর ফলে তিনি এম এল এসের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে সক্ষম হয়েছেন।

এই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি দাওয়া হয় ভোটের মাধ্যমে। যেখানে খেলোয়াড়, ক্লাবের টেকনিকাল স্টাফ এবং মিডিয়ার কিছু নির্দিষ্ট সাংবাদিকরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। মেসি এই আসরে ৩৮.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়ে এই ট্রফিটি জিততে সক্ষম হন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্রিস্টিয়ান বেনটাকে পেয়েছেন ৩৩.৭০ শতাংশ ভোট।

এই মায়ামি ক্যাপ্টেন মাত্র ৫৫শতাংশ ম্যাচ খেলার পরও এই ট্রফি জিততে তিনি সক্ষম হয়েছেন। তিনি মৌসুমের ৩৪টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১৯টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। ২০২৪ কোপা আমেরিকা মৌসুমের ফাইনালে চোট পাওয়ার কারণে তিনি মৌসুমের অনেকটা সময়ই দলের বাহিরে ছিলেন। তবে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য একজন খেলোয়াড়কে অন্তত ১,০০০ মিনিট খেলতে হয় পুরো মৌসুম জুড়ে। যা মেসি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, মেসি প্রতি ৯০ মিনিটে ১টি গোল করতে সক্ষম হয়েছেন যা তাদের লিগে সহায়তা করেছে। এম এল এসে ১,৪৮৫ মিনিট খেলেছেন মেসি। সেখানে প্রতি ম্যাচে তার গোলে অবদান রয়েছে গড়ে ২.১৮। যা এই লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

তার এই পরিসংখ্যান এবং খেলায় তার ইমপ্যাক্ট ইন্টার মায়ামীকে সাপোর্টার্স শিল্ড এবং লিগে ৭৪ পয়েন্টের রেকর্ড করতে সাহায্য করেছে। এত ভালো মৌসুম যাওয়ার পরেও দুঃখজনক ভাবে আটলান্টা ইউনাইটেডের কাছে তারা হেরে যায়। যার ফলে তারা প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে। ফলে ২০২৪ মায়মীকে হতাশাজনক ভাবে শেষ করতে হয়।

মেসির অসাধারণ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও ইন্টার মিয়ামি মৌসুমটি হতাশাজনকভাবে শেষ করে। তবে, তার কৃতিত্ব এবং মাঠে নেতৃত্ব তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে রয়ে যাবে।

এই মৌসুমে মেসির সাফল্য এমএলএস-এ তার প্রথম পূর্ণ মৌসুমকে স্মরণীয় করে তোলে এবং তার ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়কে আরও উজ্জ্বল করে। ভক্তরা এখন আরও আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছে মেসি এবং ইন্টার মিয়ামির পরবর্তী মৌসুমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য।

Share via
Copy link