একটা মাস রীতিমত ঘোরের মধ্যে ছিল গোটা দেশ। ফুটবল বিশ্বকাপের জ্বর ছড়িয়ে পড়েছিল এই বাংলার আনাচে-কানাচে। সেটা অবশ্য নতুন নয়। তবে এবার যেন বাংলাদেশের মানুষদের উৎসবের প্রবল স্রোতে ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। একটাবার চিন্তা করুণ। ঢাকার মাঠে খেলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
হ্যাঁ, ঘটনা সত্য। দ্বিতীয় দফা আর্জেন্টিনা আসতে চলেছে বাংলাদেশে। তবে এবারের উন্মদনা তো ভিন্ন। এবার তো সাথে করে বিশ্ব জয়ের আনন্দও নিয়ে আসবে আর্জেন্টিনা। শেষ বারের আর্জেন্টিনা দলটা ছিল না বিশ্বজয়ী কোন দল।
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন ছিল। সেই গুঞ্জন এখন কেবল কোন গুঞ্জন নয়। সত্যি হচ্ছে, তেমনটাই জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আগামী জুন মাসের ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের আসার বিষয় সম্মতি জানিয়েছে আর্জেন্টাইন ফুবটল অ্যাসোসিয়েশন। কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন প্রাথমিক কথা-বর্তা ইতোমধ্যেই সেরে ফেলেছে দুই দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংগঠনদ্বয়।
এখন অপেক্ষা শুধু শেষ মুহূর্তের চুক্তির। তেমনটা হয়ে গেলেই বাংলাদেশে খেলতে চলে আসবে আলবিসেলেস্তারা। তবে কাদের বিপক্ষে খেলবে লিওনেল মেসির দল সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা দল তাদের কোচের সাথে আলাপ-আলোচনা শেষে কয়েকটি দলের তালিকা দেবে বাফুফেকে। সেই তালিকা থেকে বাফুফে নিজেদের মত করে চূড়ান্ত দল বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দেবে।
কিন্তু দেশের ফুটবলের আঁতুড়ঘর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম রয়েছে সংস্কারাধীন। আর কাজের গতি দেখে আন্দাজ করে নেওয়া যায় সহসাই সংস্কার কাজ শেষ হবার নয়। তবে এই বিষয়েও ইতিবাচক বক্তব্যই ব্যক্ত করেছেন সালাউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন ক্রীড়া পরিষদের সাথে আলাপ হয়েছে বাফুফের। ক্রীড়া পরিষদও সম্মতি জানিয়েছে, দ্রুতই মাঠটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের উপযোগী করবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুনেই আকাশী নীলজার্সি-ধারিদের দেখা যাবে বাংলার মাটিতে। বিশ্বনন্দিত ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির পায়ের ছোঁয়া পাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এর আগে ২০১১ সালে আর্জেন্টিনা দল এসেছিল বাংলাদেশে। সেবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল নাইজেরিয়া। গোটা স্টেডিয়ামে সেদিন ছিল উপচে পড়া ভিড়। সেবার আফ্রিকান দেশটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা।