পর্দা নামলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের। প্রায় এক মাসের ফুটবল মহাযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটলো ৯২ বছরের ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনালের মাধ্যমে। দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিরোপা খড়া ঘুচিয়ে নিজদের তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। সেই আরাধ্য সোনালি ট্রফিটির পাশাপাশি প্রায় ৪২ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানিও পাচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বরাবরের মতই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি দলের জন্যই প্রাইজমানি রেখেছে ফিফা। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে কাতারে। প্রাইজমানিতেও দেখা গেছে সেই প্রতিফলন। ইতিহাসের যেকোনো আসরের চেয়ে বেশি প্রাইজ মানি পাবে কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলো।
বিশ্বকাপের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের প্রাইজ মানি। সম্পূর্ণ প্রাইজমানির প্রায় এক-দশমাংশ, ৪২ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন।যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ৪৩৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
ফাইনালে হেরে যাওয়া সদ্য সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স পাচ্ছে ৩০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্স পেয়েছিল ৩৮ মিলিয়ন ডলার। ৪ বছর আগের রাশিয়া বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানিও ছিলো এবারের বিশ্বকাপের চেয়ে কম। সব মিলিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রাইজ মানি ছিলো ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
প্রাইজমানির পুরো টাকাই পান না খেলোয়াড়রা। তবে টাকার সবচেয়ে বড় অংশই যায় খেলোয়াড় আর কোচিং স্টাফদের মাঝে। ফিফার কাছ থেকে অর্থ বুঝে পাবে অংশগ্রহণকারী ফুটবল ফেডারেশন গুলো। ফুটবল ফেডারেশন সেই প্রাইজ মানির অংশ বুঝিয়ে দেবে খেলোয়াড়দের।
এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই পাবে ৯ মিলিয়ন ডলার করে। তৃতীয় হওয়া ক্রোয়েশিয়া পাচ্ছে ২৭ মিলিয়ন ডলার আর আরেক সেমিফাইনালিস্ট মরক্কো পাচ্ছে ২৫ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা প্রতিটি দল পাচ্ছে ১৭ মিলিয়ন ডলার করে। গত চার বছরে ফিফার মোট আয় প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। স্পন্সর, ব্রডকাস্ট আর খেলার টিকিট বিক্রিই মূলত ফিফার আয়ের মূল উৎস।
বিশ্বকাপ শুরু আগে কাতারের আয়োজন নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ পরিণত হয়েছে ইতিহাসেরই অন্যতম সফল বিশ্বকাপে। আয়োজনে সফলতায় সমালোচকদের দারুণ জবাব দিয়েছে এশিয়ার প্রতিনিধিরা।