আর্শদ্বীপ সিং, তিনি প্রস্তুত জাসপ্রিত বুমরাহের কাছ থেকে ভারতের পেস বোলিং ব্যাটনটা তুলে নিতে। প্রতি নিয়ত সে প্রমাণটাই তিনি রেখে যাচ্ছেন, অন্তত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার দুর্ধর্ষ প্রথম স্পেলেই ভারতের ম্যাচের মোমেন্টাম গড়া হয়ে যায়। আর এরপর যেন তিনি তার জায়গা পোক্ত করে ফেলেছেন ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষকদের গুডবুকে।
গুয়াহাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে, ১০১ রানের বিশাল বড় জয় তুলে নিয়েছে সুরিয়াকুমার যাদবের ভারত। বিশাল জয়ের এই যাত্রাটা মূলত শুরুই হয় আর্শদ্বীপের হাত ধরে। কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবসের মত দুই ব্যাটারকে একেবারে শুরুর দিকে ফিরিয়ে সফরকারীদের কোণঠাসা করে ফেলেন আর্শদ্বীপ।
এরপর মূলত তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ আকাশ চোপড়া ও ইরফান পাঠান। তাকে দেখে ভুবনেশ্বর কুমারের কথা মনে পড়ে গেছে আকাশ চোপড়ার। যার মূল কারণ, আর্শদ্বীপের বলের উপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ, দুই দিকের সিম মুভমেন্ট করানো দক্ষতা। আর তাতেই বরং ভুবনেশ্বরের ছায়া দেখতে পেয়েছেন আকাশ চোপড়া।

কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো আর্শদ্বীপ ভুবনেশ্বর থেকেও ঢের এগিয়ে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়া বোলার আর্শদ্বীপ। এমনকি ভারতের পক্ষে প্রথম বোলার হিসেবে উইকেটের শতক করেছেন বা-হাতি এই পেসার। আর উইকেট শিকারের এই সক্ষমতা তাকে আলাদা করে তুলেছে বাকিদের তুলনায়।
প্রতিটি উইকেট তুলে নিতে আর্শদ্বীপ ব্যাটারদের ফেলে দেন দ্বিধার রাজ্যে। বলের লাইন লেন্থ বদলে, কখনো গুড লেন্থে ইনকামিং কিংবা আউট গোয়িং সুইং, কখনো আবার বাউন্সার, মাঝে মধ্যে পিন-পয়েন্ট ইয়োর্কার- এসবের মিশেলে আর্শদ্বীপ হয়ে উঠেছেন ভারতের বোলিং আক্রমণে ভরসার প্রতীক।
আর ঠিক এই জায়গায় ইরফান পাঠান মনে করেন, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর্শদ্বীপের কারণে ভারতের পরিকল্পনা সাজানো ও বোলার ব্যবহারের কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে। কেননা পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভার- সর্বক্ষেত্রেই আর্শদ্বীপ মুন্সিয়ানা দেখিয়ে যাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। এক্ষেত্রে ভারতকে আর জাসপ্রিত বুমরাহর ওভার রেখে দেওয়ার জন্য দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এটাই বরং সবচেয়ে বড় স্বস্তি, আর্শদ্বীপ দিচ্ছেন সেই লাক্সারি।












