ব্রিজটাউনের স্পিন বান্ধব উইকেটে এক পেসার কমানোর সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজম্যান্টের; জাসপ্রিত বুমরাহর সঙ্গে কাকে রাখা হবে এমন প্রশ্নে শেষমেশ বেছে নেয়া হলো আর্শ্বদীপ সিংকে। গত দুই বছর ধরে ভারতের অন্যতম সেরা পেসার হয়ে উঠা মোহাম্মদ সিরাজকে টেক্কা দিয়ে একাদশে সুযোগ পান তিনি, তাই তো সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি একটুও।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি, একাই নিয়েছেন তিন উইকেট। যদিও আরেকটু এদিক সেদিক হলে সংখ্যাটা চার হতে পারতো, সেই সাথে হ্যাটট্রিকের স্বাদও পেতে পারতেন তিনি। অথচ এই ম্যাচ তো দূরে থাক, বিশ্বকাপেই খেলার কথা ছিল না তাঁর।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের আইপিএলে পারফরম করতেই হতো, এই পেসারও করেছেন। তবে আহামরি কিছুই করেননি, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় সেরা পাঁচেও ছিলেন না। তাছাড়া মোহাম্মদ শামি ফিট থাকলে তাঁকে হয়তো বিবেচনাতেই আনা হতো না।
এতকিছুর পরেও ভাগ্যের ছোঁয়া আর পরিশ্রমের গুণে সেরা পনেরোতে জায়গা পেয়েছেন আর্শ্বদীপ, এখন পর্যন্ত ম্যাচও খেলেছেন সবগুলো। বলা বাহুল্য, বুমরাহর মতই ধারাবাহিকভাবে দলের জয়ে অবদান রাখছেন তিনি। আফগানদের বিপক্ষে অবশ্য জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর ছিল তাঁর বোলিং, প্রতিপক্ষের লোয়ার অর্ডারকে রান করতেই দেননি।
এর আগে এবারের বিশ্বকাপের চমক যুক্তরাষ্ট্রকে চমকে দিয়েছিলেন এই তারকা। পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়া অ্যারন জোন্সদের আরেকটা রূপকথা লিখতে দেননি তিনি, স্রেফ নয় রানের বিনিময়ে সেদিন চার উইকেট শিকার করেছিলেন, স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।
সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলেই দশ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আর্শদীপ। নতুন বলে যেমন ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছেন, তেমনি ডেথ ওভারেও অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। জাসপ্রিত বুমরাহর ছায়ায় থেকেই নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে যাচ্ছেন, টিম ম্যানেজম্যান্ট তাঁর কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করেছিল বটে।