বয়স টা ৪০ ছুঁই ছুঁই । তবুও যেন ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আগের মতই আছে। প্রায় ১১ বছর হলো জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন এই ক্রিকেটার। তবুও মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্যে দশর্কের ভালোবাসা যেন ঠিক আগের মতই আছে।
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডানের হয়ে নাম লিখেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। রবিবার মোহামেডান আর রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এদিন খেলা শুরু করার আগে মূল মাঠে ফিল্ডিং প্রাকটিসে মশগুল ছিলেন আশরাফুল। এমন সময় গ্যালারি থেকে দশর্কের হাক। দর্শকদের ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে গেলেন বাংলাদেশের এক সময়ের পোস্টার বয়।
ভক্তদের আবদার, তুলতে হবে তাদের সাথে ছবি। আশরাফুল ও ভক্তদের আবদার পুরন করলেন। নিজে এগিয়ে গিয়ে দর্শকের সাথে ছবি তুললেন। এইতো কিছুদিন আগেও শাহরুখ খান রূপে হাজির হয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনে। তাতেই দর্শকদের মাঝে বেশ সারা ফেলিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
একটা সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে অভিষেক হয়েছিল সালে এই আশরাফুলের। অভিষেক ম্যাচেই টেষ্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করে তিনি হয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।
ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালেই। ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো করতে না পারলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত জয়ে আশরাফুলের অবদান রয়েছে।
২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে তৎকালীন বিশ্বের এক নাম্বার ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ে আশরাফুল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
স্মৃতিতে ধরে রাখার মত আরও সহস্র মুহূর্তের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। সেই আশরাফুল এখন জাতীয় দল থেকে এক আলোকবর্ষ দূরে। এখনও তাঁর কিছু পাগলাটে সমর্থকরা তাঁকে দেখতে চান জাতীয় দলে। ঠিক যেমন তাঁরা আশরাফুলকে আগলে রাখতে চান হাতে থাকে মুঠোফোনে।