বৃষ্টি বরাবরই ক্রিকেটের শত্রু; আর এসময় খেলা যদি হয় শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে তাহলে তো কথাই নেই। এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের তিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে পাল্লেকেলেতে। এর মাঝে দুইটি ম্যাচেই বড় প্রভাব ছিল বৃষ্টির। আর কলম্বোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরো বেশি অথচ সুপার ফোর ও ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে এটিকে।
এমতাবস্থায় বাধ্য হয়েই কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় ম্যাচগুলো সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। হাম্বানটোটা শ্রীলঙ্কারই একটি উপকূলীয় শহর, তবে এখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা ২০ শতাংশেরও কম। তাই বৃষ্টির বাধা ছাড়াই ম্যাচ খেলতে এটিকে বেছে নিয়েছে মহাদেশীয় ক্রিকেট সংস্থা।
এশিয়া কাপে অংশগ্রহণকারী সব দেশকে এরি মাঝে ভেন্যু পরিবর্তনের তথ্য জানিয়ে দিয়েছে এসিসি। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিবে তাঁরা।
তবে হাম্বানটোটায় বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। এই স্টেডিয়াম মূলত একটা গ্রামের ভেতর অবস্থিত। সবচেয়ে কাছের হোটেলও প্রায় ৭০/৮০ কিমি দূরে। আবার জঙ্গলের কাছে হওয়ায় কখনো হাতি, কখনো আবার পোকামাকড় এসে হাজির হয় মাঠে। এছাড়া দর্শকদের জন্য যানবাহন খুঁজে পাওয়াও খানিকটা কঠিন।
এসব কারণে সাধারণত হাম্বানটোটায় খুব বড় কোন ম্যাচ আয়োজন করেনা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। যদিও কয়েকদিন আগেই হয়েছে আফগানিস্তান – পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের বাকি অংশ আয়োজনের প্রস্তাবও উঠে এসেছিল এসিসির সভায়। তবে অত্যধিক গরম এবং আদ্রতার কারণে সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি কর্তারা। বিশ্বকাপের আগে এমন প্রতিকূল কন্ডিশনে ক্রিকেটারদের খেলতে বাধ্য করলে ইনজুরির বড় ঝুঁকি থাকবে।
কলম্বোয় আগামী এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একই ঝুঁকি রয়েছে পাল্লেকেলেতে। অন্যদিকে ডাম্বুলায় রয়েছে ফ্লাডলাইট সমস্যা। তাই শেষমেশ সমাধান হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে হাম্বানটোটাকে।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে পরবর্তী খেলা সেপ্টেম্বরের নয় তারিখে। ফলে কয়েকটা দিন অন্তত সব গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবে আয়োজকেরা। তবে এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তা নাজাম শেঠি এসিসির সমালোচনা করেছেন।
নিজের টুইটার একাউন্টে তিনি লেখেন, ‘আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম পাঁচ ম্যাচ পাকিস্তান এবং নয় ম্যাচ আরব আমিরাতে খেলার। এসিসি আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি, বিসিসিআই এই অনুরোধ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কেবল মি. শাহ (জয় শাহ) বলতে পারবেন কেন সব যুক্তি, কারণের বিরুদ্ধে গিয়ে শ্রীলঙ্কায় খেলা দিতে হল।’