নিকোলাস সেইয়াল্ডের লং বল যখন উড়ে আসছিলো তখন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠিক কি ভেবেছিলেন? হুট করেই তিনি এগিয়ে যান গোললাইন ছেড়ে, এগুতে এগুতে ডি বক্সের বাইরে চলে যান। এরপরই আবার কি ভেবে দাঁড়িয়ে পড়েন ক্ষণিকের জন্য!
এতটুকুই যথেষ্ট হয়েছে, তাঁর এই অদ্ভুত দ্বিধাদ্বন্দের সুযোগে বল দখলে নিয়ে নেন লুইস ওপেন্দা। বাকিটুকু তো একেবারে জলের মতন সরল, ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দিয়ে উদযাপনে মেতে উঠেন তিনি।
ম্যাচের স্রেফ তিন মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা, অধিনায়ক জন ম্যাগগিনের গোলে শুরুতেই লিড পায় তাঁরা। কিন্তু এমি মার্টিনেজের ভুলে সেই লিড হারিয়ে ফেলতে হয় আবার, বিশ্বসেরা গোলরক্ষকদের একজন হয়েও ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের টুর্নামেন্টে এমন ভুল আসলে মানা যায় না।
যদিও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে কার্পণ্য করেননি এই আর্জেন্টাইন। এমন শিশুসুলভ ভুল করার পরেও একেবারে ভেঙে পড়েননি তিনি, উল্টো ম্যাচের বাকি অংশে আত্মবিশ্বাসী গোলরক্ষকের মতনই ঠেকিয়ে দিয়েছেন একাধিক নিশ্চিত গোল।
তাতেই মূলত আরো একবার জয়ের স্বাদ পেলো ভিলা; প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ম্যাচের চিত্রপট। ৫২ মিনিটের সময় জন ডুরান রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। সুপার সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নেমে তিনি আদায় করে নেন অবিশ্বাস্য একটা গোল, প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে তাঁর নেয়া শট তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না লাইপজিগের ডিফেন্ডারদের।
মিনিট দশেক পরে অবশ্য পুনরায় সমতায় ফিরতে সক্ষম হয় জার্মান প্রতিনিধিরা, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে অনেক দূর থেকে শট নিয়ে বসেন রস বার্কলি, গোল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। অথচ লুকাস ক্লোস্টারম্যানের গায়ে ডিফ্লেক্ট হয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে।
এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচ জিতলো উনাই এমেরির শিষ্যরা, সবমিলিয়ে ছয় ম্যাচ শেষে তাঁদের সংগ্রহ তেরো পয়েন্ট। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই রাউন্ড অব সিক্সটিনের সুঘ্রাণ পাচ্ছে দলটি; তবে রাউন্ড অব সিক্সটিন এখনি নিশ্চিত না হলেও প্লে-অফ রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত তাঁদের।