চাপ বাড়িয়ে গোল আদায়ের চেষ্টায় ইন্টার মিয়ামি তখন ব্যস্ত, ঠিক সে সময় কাউন্টার এটাকে বল পেয়ে যান আটলান্টা ইউনাইটেডের পেদ্রো আমাদর। অতঃপর পারফেক্ট ক্রসে ফার পোস্টে দাঁড়ানো বার্টসজ স্লিসজকে খুঁজে নেন তিনি; পুরো চেজ স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে, খেলার মোমেন্টামের বিপরীতে গোল করেন স্লিসজ।
এ গোলেই শেষমেশ নির্ধারিত হয় ম্যাচের ভাগ্য; লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি পারেন নমেজর লিগ স্করার (এমএলএস) প্লে-অফের সেমিফাইনাল খেলতে। তিনি নিজে মাঠে ছিলেন, গোল করেছেন তবু তাঁর দল পারেনি আটলান্টা ইউনাইটেডের বাঁধা ডিঙাতে। প্রথম ম্যাচ মিয়ামি জিতেছিল ঠিকই কিন্তু পর পর দুই ম্যাচে হেরে বাদ পড়তে হলো তাঁদের।
শুরুটাই হয়েছিল আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে দিয়ে, সতেরো মিনিটের সময় তাঁর ডান পায়ের কার্ল শট ফেরাতে গিয়ে মাতিয়াস রোজাসের কাছে বল পৌঁছে দেন আটলান্টার গোলরক্ষক। তাতেই সহজ গোলের সুযোগ তৈরি হয়, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলও করেন রোজাস।
কিন্তু ১২০ সেকেন্ড পার হওয়ার আগে সমতায় ফিরে সফরকারীরা, পনেরো গজ দূর থেকে নেয়া শটে জামাল থিয়েরে মিয়ামির স্বপ্নে প্রথম আঘাত হানেন। ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার সময় অবশ্য দেননি তিনি; আবারো দুই মিনিটের মধ্যে জালের দেখা পান – সবমিলিয়ে চার মিনিটের ব্যবধানে কামব্যাক সম্পূর্ণ হয় আটলান্টার।
পুরো ম্যাচ জুড়ে মেসি অবশ্য চেষ্টার কমতি রাখেননি, কি না করেছেন তিনি। ৬৫ মিনিটের সময় গোল করে দলকে পুনরায় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি, বহুদিন পর তাঁকে হেডারে গোল করতে দেখার স্বপ্নও পূরণ হয়েছে একই সাথে।
তবে কেবল গোলে আটকে ছিলেন না ‘এলএমটেন’। গোলের সাত সাতটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি, যা কি না দুই দলের বাকি যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। অথচ লুইস সুয়ারেজ পাঁচটা শট নিয়েও নিজের নাম তুলতে পারেনি স্কোরবোর্ডে।
তাতেই ঘটেছে বিস্ময়কর ঘটনা, সবাইকে চমকে দিয়ে ইন্টার মিয়ামিকে বিদায় বলে দিয়েছে আটলান্টা ইউনাইটেড। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে কিংবা তৃতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাঁরা সেটা অবিশ্বাস্য। প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালীই হোক, লড়াইয়ের আগে হার না মানার শিক্ষা দিয়ে গেলো দলটা।