গ্যাবার বাউন্সি মরণফাঁদ নিয়ে ভারতের অপেক্ষায় অজিরা

এবার দেখা যাক, গাব্বার পিচে কারা টিকে থাকে আর কারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে! তবে ব্যাটিংয়ে আপাতত নড়বড়ে ভারতের জন্য গ্যাবার পিচটা মরণফাঁদই হতে যাচ্ছে বোধহয়।

ভারতের জন্য অগ্রীম ক্রিসমাস গিফট নিয়ে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া। গ্যাবার বাউন্সি পিচই উপহার হিসাবে পাচ্ছে ভারত, নিশ্চিত করেছেন খোদ পিচ কিউরেটরই।

চলতি বোর্ডার -গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। ঐতিহাসিক গ্যাবা মাঠে গতি আর বাউন্সের পসরা খুলে ভারতের অপেক্ষায় অজিরা। ব্রিসবেনে ক্রিসমাসের আগে আর পরে অজিদের পারফরম্যান্সে তফাৎটা মোটা দাগে চোখে পড়ার মত। ক্রিসমাসের আগে গ্যাবায় খেলা ৬১ টেস্টে অজিরা হেরেছে মোটে সাতবার। অপরদিকে ক্রিসমাসের পরে খেলা পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই আছে হারের তিক্ত স্বাদ৷ তাইতো যুগ যুগ ধরে অজি কাপ্তানরা গ্যাবায় টেস্ট খেলতে চেয়েছেন নতুন বছরের শুরুর আগেই।

১৯৮৮ সাল থেকেই গ্যাবায় অপরাজিত ছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের দুর্গ ভেদ করে ২০২০-২১ সালে প্রথম সেখানে জিতে যায় ভারতই। খেলাটাও হয়েছিল সেই ক্রিসমাসের পর, জানুয়ারিতে। ভারতের তৈরি করা ফাটলের উপরে এরপরে আঘাত হানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবছরের শুরুতেই গ্যাবাতে আরও একবার অজিদের হারের স্বাদ উপহার দেয় ইউন্ডিজরা। এটাও সেই জানুয়ারি মাসেই। মানে ক্রিসমাসের পরে নিজেদের রক্ষাকবচের দুর্গটাই বড্ড অচেনা হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে।

তবে, এবার ক্রিসমাসের আগেই গ্রীষ্মের তাপেই ভারতকে ঝলসানোর সুযোগ পাচ্ছে তারা। ১-১ এ সমতায় থাকা সিরিজে এগিয়ে যেতে বাউন্সি পিচে ভারতকে নাস্তানাবুদের সুযোগ হয়ত হাতছাড়া করবে না তারা। গাব্বার পিচ কিউরেটর ডেভিড স্যান্ডুরস্কি বলেন, ‘বছরের সময় অনুযায়ী পিচে পরিবর্তন আসতে পারে। গ্রীষ্মের শুরুতে পিচ থাকে অনেক বেশি সতেজ, যেখানে বল বেশি বাউন্স করে। কিন্তু মৌসুমের শেষদিকে পিচে তেমন ঘাস থাকে না’

তবে তিনি আরও বলেন , ‘প্রতিবারই আমরা চেষ্টা করে গ্যাবার ঐতিহ্যবাহী পিচই বানাতে। যেখানে গতি ও বাউন্সই রাজত্ব করে, এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।’ নির্ভর‍যোগ্য এক সূত্রে জানা যায়, এ বছরের নভেম্বরের শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচে গ্যাবার যে পিচে প্রথম দিনে ১৫টি উইকেট পড়েছিল, তেমন উইকেটই বানানোর প্লান করছেন কিউরেটর।কিন্তু সেটি ছিল গোলাপি বলের দিবারাত্রি ম্যাচ।তবুও ভিক্টোরিয়া আর কুইনসল্যান্ডের ব্যাটাররা সে ম্যাচ শেষ অবধি টিকে থেকে রান করতে পেরেছিলেন।

যদিও কিউরেটর ডেভিড বারবার বলছিলেন যে, বছরের সময় বা স্বাগতিকদের চাহিদা অনুসারে পিচের কোন পরিবর্তন হবে না। তবে ব্রিসবেনে টানা কয়েকদিন বৃষ্টির পর প্রথমবারের মত পিচ উন্মোচন হলে দেখা যায় সেই চিরচেনা ঘাসে ভরা বাউন্সি পিচ। শুক্রবার অর্থাৎ ম্যাচের দিনও হতে পারে বৃষ্টি।

ব্যাটারের জন্য যে নাইটমেয়ার হতে যাচ্ছে আগামী টেস্টটা তা বুঝতে নিশ্চয়ই খুব বড় ক্রিকেট পন্ডিত হতে হয় না। তবে টিকে থাকলে কিন্তু রানের খাতাও বড় করা সম্ভব এখানে। এবার দেখা যাক, গাব্বার পিচে কারা টিকে থাকে আর কারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে! তবে ব্যাটিংয়ে আপাতত নড়বড়ে ভারতের জন্য গ্যাবার পিচটা মরণফাঁদই হতে যাচ্ছে বোধহয়।

Share via
Copy link