লড়াইটা হলো দুই দলের পেস ইউনিটের। শেষটাতে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের সামনে নতি স্বীকার করলো ক্যারিবীয়রা। শুরুতে আশা জাগিয়েও জয়ের তীরে নিজেদের নৌকা ভেড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন দিনেই শেষ ব্রিজটাউন টেস্ট যেখানে জয়ের হাসিটা হাসলো অজিরা।
প্রথম দিন থেকেই যেন অঘোষিত বার্তা দিয়েছিল উইকেট—এই মাঠে ব্যাটার নয়, পেসারদের আধিপত্যই থাকবে। যে দলের পেস ইউনিট শক্তিশালী, দিনশেষে জয়ের পাল্লাটাও যাবে তাদের দিকেই।
বার্বাডোসে ম্যাচের শুরু থেকেই পুরোনো বাউন্স, সেই চেনা সুইং—শুরুতেই নাস্তানাবুদ অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। শামার জোসেফের চার এবং জায়ডেন সিলসের পাঁচ শিকারে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় তাঁদের প্রথম ইনিংস।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। প্যাট কামিন্স, হ্যাজেলউড এবং মিচেল স্টার্ক—তিন পেস ত্রয়ীর আঘাতে ১৯০ রানেই গুটিয়ে যায় তাঁরা।
তবে নাটকের শুরু দ্বিতীয় ইনিংসে। ৬৫ রানেই অজিদের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে পুরো ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নিচ্ছিল স্বাগতিকরা। শামার জোসেফের বোলিংয়ের বিপরীতে দিশেহারা যখন অস্ট্রেলিয়া, তখনই দৃশ্যপটে হেড, ওয়েবস্টার এবং অ্যালেক্স। মিডল অর্ডারে তিনজনই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছেন, তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তাই তো ৩১০ রানের বড় সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০১ রানের।
যে পিচে ২০০ রান করাটাই কঠিন, সেখানে অজি পেস আক্রমণের সামনে চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ চেজ করাটা অবিশ্বাস্যই ছিল স্বাগতিকদের জন্য। আর সেটাই হলো। পেস, সুইং, বল কন্ট্রোলিং—সব মিলিয়ে হ্যাজেলউড ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং অর্ডার একেবারেই ধসিয়ে দেন।
৮৬ রানেই ৮ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের হয়ে শেষ লড়াইটা চালান শামার জোসেফ। ২২ বলে ৪৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেললেও শেষ পর্যন্ত ১৪১-এ গুটিয়ে যায় তাঁরা।
অস্ট্রেলিয়া ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায়।
অস্ট্রেলিয়া বুঝিয়ে দিল কেন তাদের পেস ইউনিট বিশ্বমানের! কেন তারা শেষ পর্যন্ত লড়াইটা করতে জানে। অভিজ্ঞতা আর পারফরম্যান্সের এক সিম্ফনিতেই তাই তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশায় রীতিমতো পানি ঢাললো তাঁরা।