১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। প্রতিভা আর সামর্থ্যে ঠাসা দারুণ অলরাউন্ড দল। প্রায় পরিপূর্ণ ও ব্যালান্সড এক দল। ফাইনালে তাদেরকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল। সৌরভ গাঙ্গুলির ‘টিম ইন্ডিয়া’। ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন দিনের গান। অবিশ্বাস্য ফর্মের সাচিন টেন্ডুলকার, দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইন আপ আর শ্রীনাথ-জহির-নেহরার পেসত্রয়ীর ভেলায় এগোতে থাকা দল। ফাইনালে তাদেরকে বিধ্বস্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনাল। বলাবলি হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং আর লঙ্কান বোলিংয়ের লড়াই। ভাস-মালিঙ্গা-ফার্নান্দো-মুরালি-জয়াসুরিয়াকে নিয়ে গড়া বৈচিত্রময় বোলিং লাইন আপ। ব্যাটিংয়ে তো জয়ার সঙ্গে সাঙ্গা-মাহেলা-থারাঙ্গা-দিলশান ছিলেনই। ওই বোলিং লাইন আপ আর ওই দলকে দাঁড়াতেই দেয়নি অস্ট্রেলিয়া।
২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত স্কিল, আগ্রাসী শরীরী ভাষা, দারুণ স্পিরিটেড ক্রিকেট খেলতে উড়তে থাকা দল। অস্ট্রেলিয়া স্রেফ মাটিতে আছড়ে ফেলেছে তাদের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল।
বেশ কম্প্যাক্ট নিউ জিল্যান্ড। শক্তির গভীরতা অনেক বেশি নয়, তবে অনেক কৌশলি। যারা খেলে পরিকল্পিত ক্রিকেট। যথারীতি স্পিরিটেড দল। অসাধারণ একজনের নেতৃত্বে খুব গোছানো দল। ফাইনালে সেই অধিনায়কের ব্যাটিং মাস্টারক্লাস। তারপরও, রান তাড়ায় তাদেরকে লড়াই করার সুযোগই দেয়নি অস্ট্রেলিয়া।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। টানা ১০ জয়ে ফাইনালে ওঠা ভারত, যাদেরকে মনে হচ্ছিল অপ্রতিরোধ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলাবলি করছিল, তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা দল, কেউ কেউ তো রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তুলনা শুরু করে দিয়েছিল। ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে সেই দলকেই বাস্তবতা শেখাল অস্ট্রেলিয়া।
স্রেফ ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ব্যতিক্রম। বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ভিন্ন দল। ডিফারেন্ট বিস্ট। প্রতিপক্ষের জন্য নির্মম-নিষ্ঠুর। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ডিএনএ-তেই আছে এটা।
আরও উঁচুতে, শ্রেষ্ঠত্বের নতুন সোপানে, সবার ধরাছোঁয়ার আরেকটু বাইরে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা। অভিনন্দন প্রিয় অস্ট্রেলিয়া।
– ফেসবুক থেকে