অবেলায় অবসরপ্রাপ্ত অজিরা

এমন কয়েকজন জন্মেছেন অস্ট্রেলিয়ায় যারা বেশ তড়িঘড়ি করেই অবসর নিয়েছেন। কারো কারো ক্ষেত্রে অবসর নেওয়ার কারণও আছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে সবাইকে একই রকম হারে পারফর্ম করানো সহজ নয়। সবাই টানা ফর্মও ধরে রাখতে পারেননি। তাই, ছিটকে যাওয়ার আগেই বিদায় বলাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছেন তাঁরা।

বেশ লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ করে নব্বই দশকে দলটা অপরাজেয়। এই সময়ে দেশটি থেকে উঠে এসেছে নামী সব ক্রিকেটার। তাঁরা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে নিয়ে গিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়। আজো অস্ট্রেলিয়া দল নিজেদের অবস্থান থেকে সরেছে সামান্যই। আগের সেই দাপট শতভাগ না থাকলেও, এখনও অস্ট্রেলিয়া দলটি ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দলগুলোর একটা। মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এমন কয়েকজন জন্মেছেন অস্ট্রেলিয়ায় যারা বেশ তড়িঘড়ি করেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে অবসর নেওয়ার কারণও আছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে সবাইকে একই রকম হারে পারফর্ম করানো সহজ নয়। সবাই টানা ফর্মও ধরে রাখতে পারেননি।

তাই, ছিটকে যাওয়ার আগেই বিদায় বলাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছেন তাঁরা। আবার বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ানরা আবেগের একদমই ধার ধারেন না – তাই অবসরের বেলাতেও সেটাই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। এমনই কিছু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের নিয়ে আজকের আয়োজন।

  • ইয়ান ক্রেইগ

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে কম বয়সী টেস্ট অধিনায়ক ইয়ান ক্রেইগ। ১৯৫০ এর দশকের এই ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন সবচেয়ে কম বয়সে। খুব কম বয়সেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। ২২ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কও হন । তবে ২৬ বছর বয়সে হঠাৎই অবসরে চলে যান এই ক্রিকেটার।

  • বো ক্যাসন

২০০২ অনুর্ধব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য বো ক্যাসন। সেই বিশ্বকাপে এই চায়নাম্যান বোলার ১৫.০৮ বোলিং গড়ে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে তাঁর। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৮ বছর বয়সেই ক্রিকেট বিদায় বলেন সম্ভাবনাময়ী এই বোলার।

  • সাইমন কুক

সাইমন কুক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। অভিষেক ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাত উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার। তবে নিয়মিত নানা ইনজুরিতে ভুগেছেন তিনি। ফলে ২০০৪ সালে বাধ্য হয়েই ৩২ বছর বয়সে অবসরে যান সাইমন।

  • নাথান ব্র্যাকেন

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। নাথান ৫ টি টেস্ট, ১৬ টি ওয়ানডে ও ১৯ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৬ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করা দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৭ বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন তিনি। তবে ২০১১ সালে ৩৩ বছর বয়সে হাঁটুর ইনজুরির জন্য অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। যদিও, যতদিন টিকেছেন বেশ কার্যকর বলেই প্রমাণ করেছেন নিজেকে।

  • মাইকেল ক্লার্ক

মাইকেল ক্লার্ক অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। এই তালিকায় সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি ১১৫ টি টেস্ট, ২৪৫ টি ওয়ানডে এবং ৩৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তাছাড়া ২০০৭ বিশ্বকাপ দলেরও সদস্য ছিলেন ক্লার্ক। তবে ইনজুরি ও অফ ফর্মের কারণে ২০১৫ সালে ৩৪ বছর বয়সেই ক্রিকেটকে বিদায় বলেন তিনি। বিদায় বেলায় কোনো অপ্রাপ্তি থাকার কথা না তাঁর।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...