অস্ট্রেলিয়ার জয় এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। চতুর্থ দিন শেষে যে চালকের আসনে অজিরাই। প্যাট কামিন্স আর নাথান লায়ন মিলে ইংল্যান্ডের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে ফেলেছেন, স্কোরবোর্ডে ইংলিশদের সংগ্রহ ছয় উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান। এখান থেকে জিততে অবিশ্বাস্যরকম কিছু করতে হবে তাদের।
এক ট্রাভিস হেডের ইনিংসটায় দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছিল ইংল্যান্ডের জন্য। ১৭০ রানে যখন তাঁকে থামানো গেল, ততক্ষণে জয়ের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ হয়ে এসেছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারত যদি না প্রথম সেশনে ৩৮ রানের ব্যবধানে অজিদের ছয় ব্যাটারকে ফেরানো যেত। স্কোরবোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় শেষপর্যন্ত ৩৪৯ রান। ইংল্যান্ডের জন্য লক্ষ্যটা ৪৩৫।
একে তো অস্ট্রেলিয়ার ভয়ঙ্কর বোলিং এট্যাক, তার উপর রানের পাহাড়। চেজ করে জেতাটা যে সহজ ব্যাপার নয়। আর সেটা আরও কঠিন হয়ে গেল যখন চার রানের মাথায় কামিন্সের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলেন ওপেনার বেন ডাকেট। ওলি পোপও কিছুক্ষন বাদেই ফিরে যান ওই কামিন্সের আঘাতেই।

ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ তখনই হয়ে যায়। তবে জ্যাক ক্রলি এবং জো রুট একটা বিশ্বাস হয়ে তখনও উইকেটে দাঁড়িয়ে। জুটিটা সেট হয়ে গেছে যখন আবার দৃশ্যপটে কামিন্স। তুলে নিলেন বিগ ফিস রুটকে। ব্যস, ১০৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে অসহায় তখন ইংল্যান্ড শিবির।
এবার গল্পে আগমন নাথান লায়নের, হ্যারি ব্রুককে তুলে নিলেন, বেন স্টোকসের স্টাম্প উপড়ে ফেললেন, এরপর একপ্রান্তে নিসঙ্গ লড়াই চালিয়ে যাওয়া ক্রলি নিজের ঝুলিতে পুরলেন। আর ম্যাচের পুরোটা দখল নিল অস্ট্রেলিয়া।
পঞ্চম দিনে ২২৮ রান চেজ করতে হবে ইংল্যান্ডকে, হাতে মাত্র চার উইকেট। কামিন্সদের ছোড়া গোলা-বারুদের সামনে টিকে থাকাটায় যে এখন দায়, সেখানেও ম্যাচ বাঁচানোর আশা করাটা অলীক স্বপ্ন ইংলিশদের জন্য।












