১৩ ম্যাচে ১৮ উইকেট – ২০২২ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এমনই এক পারফরম্যান্স করেছিলেন আভেশ খান। ফলে ক্যামেরার ফোকাস খুঁজে নিয়েছিল তাঁকে, উঠে এসেছিলেন জাতীয় দলেও। কিন্তু এরপর ছন্দ হারিয়ে আবার হারিয়ে যান আলোচনার বাইরে। তবে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় সেটা ভালোই জানা আছে তাঁর, তাই তো চলতি আইপিএলে অনন্য রূপে আবির্ভূত হয়েছেন এই পেসার।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করে যাচ্ছেন তিনি, এরই ধারাবাহিকতা দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। বিধ্বংসী সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ প্রায় একা হাতেই নাগালের ভিতর আটকে রেখেছিলেন। এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ইনিংসের সেরা বোলার বলাই যায় তাঁকে।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে তিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি, ফ্বিবনিময়ে দিয়েছেন মোটে ২৭ রান। এছাড়া একটি রান আউটও করেছেন তিনি। তাঁর কারণেই উড়ন্ত সূচনা পাওয়া সত্ত্বেও মাঝের ওভারে পথ হারিয়েছিল হায়দ্রাবাদ।
প্রথম ওভারে অবশ্য ভাল করতে পারেননি আভেশ, ট্রাভিস হেডের তোপের মুখে পড়ে খরচ করতে হয়েছিল ১৩ রান। কিন্তু ১৪তম ওভারে বল করতে এসেই প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেন। তাঁর সেই ওভারেই মূলত ম্যাচের গতিপথ বদলে গিয়েছিল, মাত্র চার রানের বিনিময়ে নিতীশ কুমার রেড্ডি আর আবদুল সামাদকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
এরপরের বাকিটা সময়েও সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিলেন এই বোলার। তাঁর তৃতীয় ওভার থেকে চার রানের বেশি নিতেই পারেনি ব্যাটাররা, অথচ সেই সময় উইকেটে ছিলেন স্বয়ং হেনরিখ ক্লাসেন!
বিশতম ওভারে আবারো কিপ্টে বোলিংয়ের প্রদর্শনী ঘটিয়েছেন তিনি, খরচ করেছিলেন স্রেফ ছয় রান। অবশ্য অনিচ্ছাকৃত এজে চার না হলে আরো কম রানেই ওভার শেষ হতো নিশ্চয়ই।
চলতি আইপিএলে ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট বনে গিয়েছেন আভেশ খান; প্রায় প্রতি ম্যাচেই আঁটসাঁট বোলিংয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। সেই সাথে নিয়মিত উইকেট তুলে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার দায়িত্বও ঠিকঠাক পালন করছেন তিনি – সবমিলিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং ইউনিটের নির্ভরযোগ্য অস্ত্র ভাবা হয় তাঁকে।