একটা ঝড় বয়ে গিয়েছে বরিশালের উপর দিয়ে; না তীব্র শীতে জর্জরিত এলাকায় বৃষ্টি হাজির হয়নি। মূলত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরচুন বরিশালের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছেন আভিস্কা ফার্নান্দো – তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সই চট্টগ্রামকে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়তে সাহায্য করেছে।
এদিন সব মিলিয়ে ৫০ বল মোকাবিলা করেছেন আভিস্কা, এতেই করেছেন ৯১ রান। ওপেনিংয়ে নেমে অপরাজিত ছিলেন একেবারে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। আর এ সময় পাঁচটি চারের পাশাপাশি সাতটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ভাগ্যের কিছুটা সহায়তা পেলে হয়তো আজ বিপিএলের দশম আসরে প্রথম শতক করতে পারতেন এই ব্যাটার।
যদিও শুরুতে মনে হয়নি, এমন ব্যাটিং করতে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম ইনিংসের প্রথমেই পিছিয়ে পড়েছিল, তিনি যখন মাত্র দুই রান করেছিলেন ততক্ষণে দুই উইকেটের পতন ঘটেছিল দলটির। তবে চতুর্থ ওভারে আব্বাস আফ্রিদিকে চার মেরে শুভ সূচনা করেন লঙ্কান এই ওপেনার। এরপর আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে।
শাহাদাত হোসেন দীপুকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি, যেখানে তাঁর অবদান ছিল সিংহভাগ। মাঝে দীপু প্যাভিলিয়নে ফিরলেও অবিচল ছিলেন এই ডানহাতি; ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি। অবশ্য রয়ে সয়েই খেলেছিলেন ফিফটি করার আগ পর্যন্ত, এরপর রূদ্র মূর্তি ধারণ করেন তিনি।
নিজের খেলা শেষ দশ বলের সাতটিই মাঠের বাইরে পাঠান তিনি, সব মিলিয়ে তিনটি চার আর চারটি ছয়ের মারে এ সময় ৩৯ রান যোগ হয় তাঁর নামের পাশে। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কল্যাণে চট্টগ্রামের বোর্ডে জমা হয় ১৯৩ রান।
ফিল সল্ট, জস ব্রাউনের মত আলোড়ন তোলা টি-টোয়েন্টি ওপেনারকে দলে ভিড়িয়েছে টিম চ্যালঞ্জার্স। দলটিতে যোগ দিবেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল মেন্ডিসও। এদের ছাপিয়ে একাদশে জায়গা পাওয়ার সবচেয়ে বড় দাবিদার কিন্তু এখন আভিস্কা ফার্নান্দো, বলাই যায় তাঁর একশো ছুঁই ছুঁই ইনিংস ম্যানেজম্যান্টকে মধুর সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।