যে কোনো বিশ্বকাপের আগেই অধিনায়ক একটা আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে থাকেন। সেখানে বিশ্বকাপের সম্ভাবনা-বাস্তবতার কথা তুলে ধরেন। সংবাদ মাধ্যমের নানা প্রশ্নের খোড়াক মেটান। এমনকি বিশ্বকাপ জার্সি পরে কোনো আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনও করেন।
বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রে এবার তেমন কিছু ঘটেনি। বরং, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দেশ ছাড়ার আগে ‘আলোচিত ও সমালোচিত’ এক সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে।
এরপর থেকেই তাঁর মুখে কুলুপ আঁটা। বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত সাকিব তো দূরের কথা, দলের অন্য কোনো সদস্যও মুখোমুখি হননি গণমাধ্যমের। কোচিং স্টাফ দলের সদস্যরাই আসছেন পালাক্রমে। প্রথম ম্যাচের পর এসেছিলেন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ।
এই নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগও আছে তোপের মধ্যে। কারণ, দিন শেষে সাংবাদিকদের ওপরও একটা পেশাগত চাপ আছে। জানা গেল, এটাও সাকিবের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্তই।
বিশ্বকাপের মাঝ পথে না পারতে দলের হয়ে তিনি কথা বলতে চান না। বাইরের দুনিয়াকে তিনি নিজের মধ্যে আসতে দিচ্ছেন না। তিনি চান, গণমাধ্যম ও অন্য যে কোনো কিছুর আলোচনার বাইরে গিয়ে বিশ্বকাপটা খেলতে।
সাকিবের নি:সন্দেহে এটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে, অধিনায়ক হিসেবে তো বটেই। আর অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ দল গোছানোর জন্য তিনি হাতে সময় পেয়েছেন খুবই কম। তবুও এই অল্প সময়টার চূড়ান্ত সদ্ব্যবহারই করতে মরিয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
আর এর জন্যই গণমাধ্যমের ব্যাপারে তাঁর কড়াকড়ি। এমনকি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের বাইরে কোনো খেলোয়াড় বা অন্য কাউকেই সাংবাদিকদের আবদার মেটাতে দেখা যায়নি।
জয়ের ধারায় থাকলে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ সাকিবের এই কৌশল নিয়ে বড় কোনো প্রশ্ন উঠবে না। বরং, একবার পা ফসকালেই বিপদ। তবে, সাকিবরা অবশ্য বিপদ আসতে দিতেই চাচ্ছেন না। বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া যে গোটা বাংলাদেশ দলই। তবে, তাই হোক!