আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজমদের ছুঁড়ে দেয়া ২৮৩ রানের টার্গেট আট উইকেট হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে আফগানরা। ফলে এটা অন্তত স্পষ্ট যে, এই পিচে ২৮০ বা এর আশেপাশে স্কোর প্রতিপক্ষের জন্য তেমন একটা চ্যালেঞ্জিং নয়।
পাকিস্তান অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিল, পাওয়ার প্লেতে তাঁদের রান রেট ছিল সাড়ে পাঁচের ওপর। যদিও মাঝের ওভারগুলোতে রান রেট কমে গিয়েছে, তাই একটা সময় ৩২০ রানের লক্ষ্যে ছুটলেও দলটিকে থামতে হয়েছে ২৮২-তেই। কিন্তু কেন এমনটা হলো, সেই উত্তর এবার দিয়েছেন আবদুল রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ শফিক যখন শুরুতে ব্যাট করছিল তখন সে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ছিল। কিন্তু বাবর ক্রিজে আসতেই সে শট খেলা বন্ধ করে দিয়েছিল। যার মানে তাঁকে শট কম খেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। সেসময় এই তরুণকে বল ঠেকাতে বা হাফ হার্টেড শট খেলার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছিল।’
এই ডানহাতির দাবি উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই, কেননা পরিসংখ্যানও তাঁর পক্ষে কথা বলছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাবর যখন মাঠে আসেন শফিকের স্ট্রাইক রেট তখন ৯৭.৪৩; অথচ আউট হওয়ার সময় তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৭.৩৩ – পার্থক্যটা বড্ড দৃষ্টিকটু।
এই কিংবদন্তি আরো যোগ করেন, ‘যখনই অধিনায়ক ক্রিজে থাকেন তখন অন্য ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ৭৮/৮০ এমন হয়। এর মানে হলো যে, অধিনায়কের পক্ষ থেকে তাঁদের এভাবে খেলতে বলা হয়ে থাকে।’
শুধু ক্যাপ্টেন নয়, পুরো দলের পরিকল্পনাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, কোন দলের বিপক্ষে ২৭০ রান করাটা যথেষ্ট হতে পারে না। সেজন্যই ক্রিকেটারদের এপ্রোচ হওয়া উচিত ৩৫০ এর আশেপাশে যাওয়ার।
সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘এসব কোন খেলা নয়। আপনি আফগানিস্তানের মত দলের বিরুদ্ধে ২৭০ স্কোর করছেন, অথচ, টার্গেট ৩৫০ এর কাছাকাছি হওয়া উচিত। এটি ব্যাটারদের এপ্রোচ হওয়া প্রয়োজন ছিল। অনেকে বলে বাবর অধিনায়কত্ব করতে জানেন না, তাহলে ম্যানেজমেন্টের লোকেরা কী করছেন? তাঁদের দায়িত্ব তাঁকে সাহায্য করা।’