বাবর আজম এখন কেবল দলের বোঝা!

সময় বদলায়, নতুন দিন আসে, তবে বাবরের ব্যাট আর হাসে না কোনোভাবে। আজও তেমন একটা মলিন দিনের গল্প নিজের হাতেই লিখলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দলকে মাঝসমুদ্রে ফেলে সাজঘরে ফিরে গেলেন।

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলি বাবর আজমকে স্রেফ অসহায় বানিয়ে দিল। ব্যাট-প্যাডের বিস্তর ফারাক, সেই সুযোগে বল ভেঙে দিল বাবরের আগলে রাখা স্টাম্প। আরও একটা নতুন দিনে সেই পুরোনো ব্যর্থতায় সঙ্গী হলো পাকিস্তানের এই নামজাদা ব্যাটারের।

সময় বদলায়, নতুন দিন আসে, তবে বাবরের ব্যাট আর হাসে না কোনোভাবে। আজও তেমন একটা মলিন দিনের গল্প নিজের হাতেই লিখলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দলকে মাঝসমুদ্রে ফেলে সাজঘরে ফিরে গেলেন।

অবশ্য মঞ্চটা তাঁর ফিরে আসার জন্য তৈরি হয়েছিল। ১৪ রানের মাথায় সায়িম আইয়ুবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বাবর। উদ্দেশ্য ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সাময়িক বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা। তবে উদ্ধার করতে এসে যেন বিপদে ফেললেন আরও।

এক প্রান্তে ফখর জামান, অন্য প্রান্তে বাবর—দুজনেই যেন ধীরগতির ব্যাটিং করার প্রতিযোগিতায় নামলেন। ফলাফল, প্রথম ১০ ওভার থেকে পাকিস্তানের এলো মোটে ২৮ রান। ফখর ফিরে গেলেও বাবরের সামনে সুযোগ ছিল নিজের ইনিংসকে ভালো অবস্থানে রেখে আসা। তবে ব্যর্থতা পায়ে বেড়ি পরিয়েছে যে তাঁর।

ওয়ানডেতে শেষবার ফিফটির দেখা তিনি পেয়েছিলেন সাত ম্যাচ আগে, তাও প্রায় সাত মাস আগে। মাঝের সময়টা কেবলই নিজের ছায়ার পিছু ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। আর শতকের গল্পটা তো অনেকটা আদিম যুগের ফেলে আসা স্মৃতিতে। যা এসেছিল ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে, তাও আবার পুঁচকে নেপালের বিপক্ষে।

এখন বাবর আজম শুধুই নিজের ছায়া। ব্যাটে রান নেই, দলের কোনো কাজেই আসতে পারছেন না আর। আপাতদৃষ্টিতে তিনি এখন দলের বোঝা। এভাবে আর কত টেনে নিয়ে যাবে পাকিস্তান, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link